মার্শাল।
মার্শালের পাশে দাঁড়ানো নিয়ে শুরু হল রাজনীতি।
২০০৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে মাওবাদীদের হাত থেকে নিজের স্কুলের শিক্ষক উদয়ভানু লোহারকে বাঁচিয়েছিল ছোট্ট মার্শাল। সেই মার্শাল এখন গোয়ালতোড় হাইস্কুলে উচ্চ মাধ্যমিকের বৃত্তিমূলক শাখায় পড়ছেন। এখন শালপাতা সেলাই করেই ছেলেমেয়েকে কোনওরকমে পড়াচ্ছেন মার্শালের মা। সংবাদপত্রে এ খবর প্রকাশিত হওয়ার পরই মার্শালের পাশে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করল সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই। আর তাদের এই সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করতে ছাড়ল না শাসক দলের ছাত্র সংগঠন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।
মঙ্গলবার এক প্রেস বিবৃতিতে এসএফআই জানিয়েছে, মার্শালের পড়াশোনার খরচ দেবে তারা। এ দিনই গোয়ালতোড়ে গিয়ে মার্শালের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এসএফআইয়ের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক প্রসেনজিৎ মুদি। মার্শালের দেখা না পেয়ে তাঁর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে এসএফআইয়ের এই প্রস্তাবের কথা জানান তিনি। প্রসেনজিৎ বলেন, ‘‘পড়াশোনা চালানোর ক্ষেত্রে আর্থিক সঙ্কট বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে মার্শাল মুর্মুর। এসএফআইয়ের পক্ষ থেকে মার্শালের পড়াশোনার সমস্ত খরচ বহন করা হবে বলে গোয়ালতোড়ে এসে তাঁকে ফোনে জানিয়েছি। মার্শাল আমাদের এই প্রস্তাব গ্রহণ করেছে।’’ এসএফআইয়ের প্রস্তাব পেয়ে মার্শাল বলেন, ‘‘পড়াশোনার ক্ষেত্রে আমার বাধা অর্থ। ওই সংগঠনের নেতার সঙ্গে কথা হয়েছে। ওরা (এসএফআই) সাহায্য করবে বলেছে।’’
এসএফআইয়ের এই উদ্যোগের সমালোচনা করেছে টিএমসিপি। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এসএফআই রাজনীতির জন্য করছে। মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছিল। আমাদের সরকারই ছাত্রছাত্রীদের জন্য সবুজসাথীর সাইকেল, কন্যাশ্রী সহ কত সুবিধা দিচ্ছে, আমরাই মানবিকতা দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের পাশে থাকি। মার্শালের পাশেও থাকব মানবিকতা দিয়ে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy