বিতর্কিত পোস্টার। নিজস্ব চিত্র
কাটমানি নেওয়ার অভিযোগে জেলার বহু তৃণমূল নেতার নামে পোস্টার পড়েছে গত কয়েক মাসে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে পোস্টার পড়েথে বিজেপি নেতার বিরুদ্ধেও। এবার বিজেপি নেতা বিজন মিত্রের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ তুলে পোস্টার পড়েছে শঙ্করআড়া এলাকায়।
বিজন বিজেপির তমলুক জেলা কোষাধ্যক্ষ। বাড়ি শঙ্করআড়া এলাকায়। শনিবার সকালে শঙ্করআড়া বাজার, পাকাসেতু এবং হাসপাতাল মোড়ে পোস্টারগুলি দেখতে পান স্থানীয়েরা। ‘তমলুক নাগরিক মঞ্চে’র নামে দেওয়া ওই পোস্টারে বেশ কয়েক বছর আগের একটি ঘটনায় বিজনের বাড়ির পরিচারিকার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ তোলা হয়েছে। বিজনের ছবি দেওয়া পোস্টারে তাঁর শাস্তির দাবিও জানানো হয়েছে। এমন পোস্টারে পড়ায় রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে।
দলীয় এবং স্থানীয় সূত্রের খবর, তমলুক শহরের প্রাক্তন সিপিএম নেতা বিজন কোলাঘাট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সিটু’র নেতৃত্বে ছিলেন। সিপিএম নেতা থাকাকালীন তাঁর বাড়ির এক পরিচারিকার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। ২০১৪ সালে সিপিএম ছেড়ে লক্ষ্মণ শেঠের নেতৃত্বাধীন ‘ভারত নির্মাণ পার্টি’তে যোগ দিয়েছিলেন বিজন। পরে লক্ষ্মণের সঙ্গেই তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। বর্তমানে বিজন দলের তমলুক জেলার কোষাধ্যক্ষ।
তাঁর বিরুদ্ধে পোস্টারে ধর্ষণ এবং খুনের যে অভিযোগ করা হয়েছে, তার প্রেক্ষিতে বিজন বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমার চরিত্রহননের জন্য বিরোধীরা এসব করেছে। একটি ভিত্তিহীন ঘটনাকে কেন্দ্রে করে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য পোস্টার দেওয়া হয়েছে।’’ এ প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সভাপতি (তমলুক) নবারুণ নায়েক বলেন, ‘‘৭০ বছরের প্রবীণ নেতা বিজনবাবু। তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে তমলুক নাগরিক মঞ্চের নামে তৃণমূলই পোস্টার দিয়েছে। এর আগে আমার বিরুদ্ধে ওরা পোস্টার দিয়ে সুবিধা করতে পারেনি। তাই দলের অন্য নেতার বিরুদ্ধে পোস্টার দিয়েছে। পুরসভা ভোটে মানুষ এর জবাব দেবেন।’’
বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের তমলুক শহর সভাপতি দিব্যেন্দু রায় বলেন, ‘‘ওই পোস্টার দেওয়ার ঘটনায় আমাদের কেউ জড়িত নেই। বিজন আগে সিপিএম করতেন। এখন বিজেপি করেন। তাঁর বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ থাকলে আইন আইনের পথে চলবে। এবিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy