একে আলুর দাম নেই। সঙ্গে দোসর মেঘলা আকাশ।
দুইয়ে মিলে চিন্তায় পড়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার আলু চাষি ও তাঁদের পরিবারগুলি। কৃষি দফতরের সহ অধিকর্তা (তথ্য) দুলাল দাস অধিকারী বলেন, “বুধবার সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় হাল্কা বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আকাশের মুখও ভার। ভারী বৃষ্টি হলে আলু চাষে তো বড় সমস্যা হবেই। তবে আকাশ পরিষ্কার হয়ে গেলে কোনও সমস্যা হবে না।”
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, চলতি আলুর মরসুমে বাড়তি ফলন হলেও মোটেও স্বস্তিতে নেই আলু চাষিরা। দাম না থাকায় গোটা জেলায় মাঠেই আলু পড়ে রয়েছে। জমি থেকে আলু তোলার উদ্যোগ নেই চাষিদেরও। সূত্রের খবর, এখন আলু গাছ পুরোপুরি শুকিয়ে গিয়েছে। কৃষি দফতরের তথ্য বলছে, এখনও জেলায় প্রায় ষাট শতাংশ আলু মাঠেই রয়েছে।
সূত্রের খবর, চাষিরা ভেবেছিলেন হিমঘর খুললে আলুর দাম চড়বে।কিন্তু হিমঘর খোলার পরেও দামের কোনও হেরফের হয়নি। এমনিতেই আলুর দাম না থাকায় চিন্তায় রাতের ঘুম উবে গিয়েছে চাষিদের। সঙ্গে বুধবার সকাল থেকেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিও মুখ ভার করে দিয়েছে চাষিদের। ক’দিন আগেই শিলাবৃষ্টির জেরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় সাতটি ব্লকে মোট তিন হাজার হেক্টর (আলু ও সব্জি) জমির ক্ষতি হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে ঘাটাল, দাসপুর, গড়বেতা, গোয়ালতোড়, চন্দ্রকোনা রোড-সহ কোথাওই দেখা মেলেনি রোদের।
মেঘলা আকাশ এবং মাঝে মধ্যে হাল্কা বৃষ্টিও হয়েছে। কৃষি দফতর সূত্রের খবর, এই আবহে চাষিরা জমি থেকে আলু তুলতেই পারেন। কিন্তু আচমকাই ভারী বৃষ্টি হলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। এই আশঙ্কায় চাষিরাও আর মাঠ মুখো হননি।
চাষিদের কথায়, ‘‘ দাম না থাকায় বিঘা প্রতি পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকা লোকসান করেই আলু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি। আলুর দাম নিয়ে এখনও সরকারেরও কোনও উদ্যোগ চোখে পড়েনি। এ বার প্রকৃতিও মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy