সবংয়ের একঝাঁক কংগ্রেস নেতা-কর্মী শাসকদলে যোগ দিয়েছেন। কংগ্রেস বিধায়ক মানস ভুঁইয়া কী করবেন, তা নিয়েও দলের অন্দরে চলছে জল্পনা। দলবদলের পরে বুধবারই মেদিনীপুরে এসে বৈঠক করলেন সাংসদ তথা প্রদেশ কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য। দলের কর্মীদের সাহস নিয়ে লড়াইয়ের বার্তাও দেন প্রদীপবাবু। মানসবাবুকে খোঁচা দিয়ে প্রদীপবাবুর বক্তব্য, “কংগ্রেসটা কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। কংগ্রেস হচ্ছে কংগ্রেসের সম্পত্তি। আমাদের দল মানুষ নির্ভর। কংগ্রেস হারিয়ে যায় না।”
সপ্তাহ কয়েক আগেই দলবদল করেছেন বিকাশ ভুঁইয়া। বিকাশবাবু কংগ্রেসের জেলা সভাপতি ছিলেন। গত জুলাই মাসে খড়্গপুরের কংগ্রেস- শিবিরে ভাঙন ধরায় তৃণমূল। শাসক দলে যোগ দেন খড়্গপুরের প্রাক্তন পুরপ্রধান রবিশঙ্কর পাণ্ডে-সহ পাঁচ জন কংগ্রেস কাউন্সিলর। এ দিনের বৈঠকে প্রদীপবাবু বলেন, “কোনও ব্যক্তি বা দু’-একজন মানুষ যদি মনে করেন যে আমি ছেড়ে চলে গেলে কংগ্রেসের কোনও ক্ষতি হবে। আমি পরিষ্কার ও মুক্তকন্ঠে ঘোষণা করতে চাই যে এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা।”
প্রদেশ কংগ্রেস কি ধরেই নিচ্ছে যে মানসবাবু দল ছাড়ছেন? প্রদীপবাবুর জবাব, “উনি যাবেন কি না জানি না। উনি ছাড়বেন কি, ছাড়বেন না, সেটা ওঁনার ইচ্ছে! উনি যদি না- যান তাহলে অসম্ভব ভাল কথা। কিন্তু উনি যে মন্তব্যগুলো করছেন, সেটাই সংশয়ের।” তিনি আরও বলেন, ‘‘মেদিনীপুরে যাঁকে কেন্দ্র করে এতদিন কংগ্রেসের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছিল, আমাদের দুর্ভাগ্যের বিষয় সেখানে একটা গভীর সংশয় এবং সন্দেহ বাসা বেঁধেছে।’’ একইসঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘‘যে ধরনের বক্তব্য উনি রাখছেন, সেই বক্তব্য কিন্তু কংগ্রেসের পক্ষে নয়, তৃণমূলের পক্ষে। মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে তিনি কথা বলছেন।’’
মানসবাবুকে বাদ রেখেই জেলায় ঘর গোছানোর কাজ শুরু করছে কংগ্রেস? প্রদীপবাবু বলেন, “জেলা তো গোছাতেই হবে। জেলার সভাপতি তৃণমূলে চলে গিয়েছেন। তবে জেলা গোছানোর প্রক্রিয়ায় মানস ভুঁইয়া অংশগ্রহণ করতে চাইলে ভাল কথা!” দলের এক সূত্রে খবর, আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর মেদিনীপুরে আসবেন অধীর চৌধুরী। দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তার আগে এ দিন মেদিনীপুরে আসেন প্রদীপবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy