নবদম্পতি। নিজস্ব চিত্র।
চার হাত এক হল রাজপুত্র ও রাজকন্যার। ঝাড়গ্রামের শেষ রাজা নরসিংহ মল্লদেবের প্রপৌত্র বিক্রমাদিত্য মল্লদেব পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হলেন ওড়িশার রেড়াখোল রাজ এস্টেটের প্রয়াত রাজা গিরিশচন্দ্র দেও-এর নাতনি ‘রাজকন্যা’ মণিকার সঙ্গে। করোনা পরিস্থিতিতে অতিথি হাতেগোনা হলেও রাজকীয় প্রথা পালনে কোনও ফাঁক ছিল না।
মণিকার পরিবার বর্তমানে উত্তরাখণ্ডের দেহরাদুনের বাসিন্দা। রবিবার রাতে দেহরাদুনের এক অভিজাত হোটেলে যর্জুবেদীয় মাঙ্গলিক মতে রাজপরিবারের রীতি-নীতি মেনেই বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। তবে করোনা আবহে দুই পরিবারের হাতে গোনা কয়েকজন সদস্য ও অতিথিরা যোগ দিয়েছিলেন। বরপক্ষে বিক্রমাদিত্যের সঙ্গে ছিলেন তাঁর বাবা ঝাড়গ্রামের বিদায়ী পুরপ্রধান দুর্গেশ মল্লদেব, বিক্রমাদিত্যের কাকা জয়দীপ মল্লদেব, জয়দীপের ছেলে হর্ষবর্ধন, রাজ পরিবারের আইনজীবী কৌশিক সিংহ-সহ মোট আট জন। আর মণিকার পরিবারের জনা দশেক সদস্য বিয়ের অনুষ্ঠানে ছিলেন।
সোমবার বিমানে কলকাতায় ফেরার পরে সড়কপথে সন্ধ্যায় ঝাড়গ্রামে পৌঁছন নবদম্পতি। প্রথা অনুযায়ী রাজপ্রাসাদের বাইরে একটি অতিথিশালায় থাকছেন বিক্রমাদিত্য ও মণিকা। বিক্রমাদিত্যের কাকা জয়দীপ মল্লদেব জানালেন, আজ, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজকীয় প্রথা অনুযায়ী গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রাজপ্রাসাদে প্রবেশ করবেন নববধূ। করোনা আবহে ঝাড়গ্রাম রাজপ্রাসাদে কাল বুধবার প্রীতিভোজের অনুষ্ঠান বাতিল করে দিয়েছেন মল্লদেব রাজ পরিবার। প্রীতিভোজে আমন্ত্রিত ছিলেন ৩৭০০ জন।
বিয়ের পরে বিক্রমাদিত্য বলছেন, ‘‘আমাদের পূর্বপুরুষরা সব সময়ই ঝাড়গ্রামের উন্নতি ও প্রগতির স্বার্থে কাজ করেছেন। সেই কারণে করোনা অতিমারি পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে যাবতীয় বিধিনিষেধকে গুরুত্ব দিয়েই জমায়েত এড়িয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান হল। প্রীতিভোজের অনুষ্ঠান আপাতত স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy