অচলাবস্থা কাটল সর্বদল বৈঠকে। খড়্গপুরে দুষ্কৃতীদের মারে তরুণ খুনের ঘটনা পর থেকেই থমথমে ছিল গোলবাজার। বুধবার প্রশাসনিক কর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে দোকানপাট খোলা হয় গোলবাজারে।
মঙ্গলবারও গোলবাজারের কয়েকটি দোকান খোলে। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই বেশিরভাগ দোকান ফের বন্ধ হয়ে যায়। ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়। পরিস্থিতি দেখে বুধবার সর্বদল বৈঠক ডাকেন খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিষেক গুপ্ত। এ দিনের বৈঠকে ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার আশ্বাস দেওয়া হয়। তারপরেই প্রশাসনিক আধিকারিকদের উপস্থিতিতে দোকান খোলা হয়।
এ দিন খড়্গপুরের পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার বলেন, “পুজোর সময়ে এত দোকান বন্ধ থাকলে শহরের আর্থসামাজিক অবস্থার অবনতি হবে। তাই পুলিশের পক্ষ থেকে সার্বিক নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ব্যবসায়ীদের বুঝিয়ে আমরা অধিকাংশ দোকান খোলাতে পেরেছি। আশা করছি, আর কোনও অশান্তি হবে না।” একইভাবে বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি প্রেমচাঁদ ঝাঁ বলেন, “আমাদের বিধায়ক দিলীপ ঘোষ শহরে শান্তি বজায় রাখার বার্তা দিয়েছেন। আমরা তাই বাজারের দোকানপাট খুলতে পথে নেমেছি।”
গত রবিবার আঠারো তম জন্মদিন ছিল রোহিতের। বাড়িতে জন্মদিনের অনুষ্ঠান শেষে বোনের বান্ধবীকে খরিদায় বাড়ি পৌঁছে দিতে বাইক নিয়ে বেরোয় সে। অভিযোগ, ফেরার পথে গোলবাজার সমবায়ের কাছে রোহিতের বাইকের সঙ্গে অন্য এক যুবকের বাইকের ধাক্কা লেগে যায়। কেন ধাক্কা লাগল, তা নিয়ে শুরু হয় বচসা। তা ক্রমে হাতাহাতিতে গড়ায়। ওই যুবক ও আরও কয়েকজন মিলে রোহিতকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ।
খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা রোহিতকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিষেক গুপ্ত বলেন, “সর্বদল বৈঠকে ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছি। আশা করছি, শান্তি বজায় থাকবে। পুজোর সময়ে বাজারে যাতে কোনও অশান্তি না হয় সে জন্য বিপুল পরিমাণ বাহিনী মোতায়েন থাকবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy