দিঘাকে দেশের পর্যটন মানচিত্রে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় তুলে ধরার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছিলেন আগেই। পর্যটকদের কাছে দিঘাকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে সৌন্দর্যায়নের নানা পরিকাঠামো গড়ে তোলায় জোর দিয়েছিলেন। সেইসব প্রকল্পের কাজ সরেজমিন দেখতে এর আগে দিঘায় প্রশাসনিক বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ফের জেলায় বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে ফের জেলা সফরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। ঠিক আছে, বাজকুল কলেজ ময়দানে আগামী ৫ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভার পরদিন দিঘায় হবে প্রশাসনিক বৈঠক।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা সফরে এসে দিঘার পর্যটনকেন্দ্রিক নানা উন্নয়ন কাজ খতিয়ে দেখার পাশাপাশি জেলার একগুচ্ছ উন্নয়নপ্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস কর্মসূচি রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের নতুন অফিস ভবনের উদ্বোধন। পাশাপাশি দিঘার সমুদ্রতীরবর্তী এলাকার সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পের নানা কাজের অগ্রগতি নিয়ে খোঁজ নিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। বাজকুলের প্রশাসনিক সভা থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা উপভোক্তাদের হাতে তুলে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই সভা থেকেই আগামী লোকসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে জেলাবাসীকে রাজনৈতিক বার্তা দেবেন মমতা, এমনটাই মনে করছেন তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। বিশেষত নন্দীগ্রামের এই জেলা থেকে তৃণমূলের উত্থানের ঘটনা নজর রেখে দলনেত্রী কী বার্তা দেন, সেদিকেই তাকিয়ে জেলার রাজনৈতিক মহল।
দল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এবারের জেলা সফরে প্রথমে নন্দীগ্রামের লাগোয়া চণ্ডীপুর ফুটবল ময়দান মুখ্যমন্ত্রীর সভার জন্য বাছাই করা হয়েছিল। তবে মাঠের আয়তন অপেক্ষাকৃত ছোট হওয়ায়, সেখান থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে বাজকুলকে বেছে নেওয়া হয়েছে। প্রশাসনিক সভায় প্রায় ৫০ হাজার লোকের জমায়েতের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলার সমস্ত ব্লক থেকে বিভিন্ন প্রকল্পে উপভোক্তা পরিবারের সদস্যদের সভায় নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়াও সভায় জমায়েতের জন্য ভগবানপুর-১ ও ২, পটাশপুর-১, চণ্ডীপুর, নন্দীগ্রাম ১ ও ২, খেজুরি ১ও ২ ব্লক থেকে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এর জন্য তৃণমূলের তরফে স্থানীয়ভাবে প্রচারও শুরু করা হয়েছে।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী আমাদের জেলায় এসে বহু উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন। বাজকুলে প্রশাসনিক সভায় আমাদের লোকজন যাবেন দলীয় পতাকা ছাড়াই। এর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy