Advertisement
E-Paper

ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জমি অধিগ্রহণ ঘিরে বিক্ষোভ! সম্মতিপত্র আদায় করতে গিয়ে বিপাকে প্রশাসনিক কর্তারা

সাংসদ দেবের উদ্যোগে এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সম্প্রতি শুরু হয়েছে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ। এই প্রকল্পের জন্য ঘাটাল শহরের তিন নম্বর ওয়ার্ড থেকে ১২ নম্বর ওয়ার্ড পর্যন্ত প্রায় সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে কয়েকশো ফুট জমির প্রয়োজন।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০২৫ ২৩:০৮
আধিকারিকদের ঘিরে বিক্ষোভ।

আধিকারিকদের ঘিরে বিক্ষোভ। — নিজস্ব চিত্র।

ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জমি অধিগ্রহণের প্রাথমিক সম্মতিপত্র আদায় করতে গিয়ে ফের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল প্রশাসনিক আধিকারিকদের। রবিবার ঘাটাল পুরসভার নিশ্চিন্তপুর এলাকায় পৌঁছে গিয়েছিলেন সেচ কর্মাধ্যক্ষ আশিস হুদাইত, ঘাটাল পুরসভার চেয়ারম্যান তুহিন বেরা এবং সেচ দফতরের ইঞ্জিনিয়ার-সহ একাধিক আধিকারিকেরা। কিন্তু কাজ শুরু হতে না হতেই প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় আধিকারিকদের। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছোয় যে, শেষমেশ ফিরে যেতে হয় সকলকেই।

সাংসদ দেবের উদ্যোগে এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সম্প্রতি শুরু হয়েছে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে গেলে ইঞ্জিনিয়ারদের পরামর্শ মতো ঘাটাল শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ১২ নম্বর ওয়ার্ড পর্যন্ত প্রায় সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে কয়েকশো ফুট জমির প্রয়োজন। আর এই জমি অধিগ্রহণের জন্যই এলাকায় এলাকায় যাচ্ছেন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রশাসন তাঁদের জন্য কী ভাবছে তা স্পষ্ট জানানো হচ্ছে না। এই প্রকল্প তাঁরাও চান, কিন্তু তার জন্য বাড়িঘর হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পথে বসতে চান না।

প্রসঙ্গত, তৃণমূলের তারকা সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেব গত লোকসভা ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, এ বার (তৃতীয় বার) জয়ী হলে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ শুরু করবেনই। বস্তুত, ঘাটালবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল এটি। ভোটে জয়লাভের পর সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষায় উদ্যোগী হন দেব। সম্প্রতি রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণ শুরু হয়। শুরু হয় বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে বোঝানোর কাজ।

ঘাটাল শহরের মধ্যে দিয়ে বয়ে গিয়েছে শিলাবতী নদী। শিলাবতীর পশ্চিম পারে পড়ে ঘাটাল বাজার। ওই বাজারের দুই দিকে প্রায় ৬০ ফুট করে জমি নেওয়ার কথা বলা হয়েছে প্রকল্পের নকশায়। ইতিমধ্যে মাপজোক করে তার তালিকাও তৈরি করা হয়ে গিয়েছে। এ জন্য সরকারি জমি যেমন প্রয়োজন, তেমন দরকার ব্যক্তিগত মালিকানাধীন কিছু জমি। ঘাটালকে বন্যা থেকে বাঁচাতে ১২টি ওয়ার্ডকে নিয়ে সার্কিট বাঁধ তৈরির প্রস্তাব রয়েছে। সে জন্য শহরের পশ্চিম দিকের নদীঘেঁষা জমি কিনে নিচ্ছে রাজ্য সরকার। তার মধ্যে পড়ছে বেশ কিছু বসতবাড়িও। এ ছাড়াও তালিকায় আছে শহরের শতাধিক দোকান। দোকানমালিকদের বড় অংশ জমি দিতে নারাজ। অনেকে বলছেন, আগে পুনর্বাসন, তার পর জমি বিক্রির কথা ভাববেন।

ghatal Ghatal Master Plan land aquisition
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy