ঝড়ের গতিতে চলছে বাঁধ মেরামতির কাজ। নিজস্ব চিত্র।
ইয়াস নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী গ্রামগুলিকে সতর্ক করতে জোরদকদমে নেমেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ)। বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছে এনডিআরএফ। পাশাপাশি কোভিড পরিস্থিতে ত্রাণশিবিরগুলিতে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রে নজর দেওয়া হয়েছে। যাতে সেখান থেকে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। পাশাপাশি ঝড় আসার আগে, সমুদ্র বাঁধ মেরামতির কাজও এগিয়ে চলেছে ঝড়ের গতিতে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামগুলিতে গিয়ে মূলত কয়েকটি বিষয় খতিয়ে দেখছে এনডিআরএফ। কোথায় কোথায় গাছ এবং বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোথায় সমুদ্র বাঁধ দুর্বল, তাও খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে। কোন কোন এলাকায় কাঁচা বাড়ি রয়েছে, দেখা হচ্ছে তাও। এর পাশাপাশি কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এবার অনেক বেশি সংখ্যায় ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। যাতে ভিড়ে গাদাগাদি করে থাকতে না হয়, তার জন্যও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর।
একই সঙ্গে সমুদ্র বাঁধের দুর্বল এবং বিপজ্জনক হিসাবে চিহ্নিত এলাকাগুলির মেরামতিতেও জোর দিচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, দিঘা থেকে খেজুরি পর্যন্ত প্রায় ৭১ কিলোমিটার সমুদ্র তীরবর্তী এলাকা রয়েছে। ইয়াস-এর জেরে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে রামনগর, কাঁথি এবং খেজুরির মোট ৬টি ব্লক। এর মধ্যে রামনগর ১ নম্বর ব্লকের শঙ্করপুর থেকে তাজপুরের জামড়া পর্যন্ত বাঁধের অবস্থা দুর্বল। সেই বাঁধ মেরামতি চলছে ঝড়ের গতিতে।
রামনগর ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শম্পা মহাপাত্র বলেন, ‘‘সমুদ্রের পাড়ে দ্রুত ব্ল্যাক স্টোন ফেলার কাজ শেষ করার চেষ্টা চালাচ্ছি।’’ শম্পা আরও বলেন, ‘‘ঠিকাদার সংস্থাগুলিকে আরও বেশি সংখ্যায় কর্মী নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে উপকূলের বাসিন্দাদেরও সরানোর প্রস্তুতি সারা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy