আমগেছিয়ায় কেলেঘাই সংস্কারের কাজ পরিদর্শনে মন্ত্রী। —নিজস্ব চিত্র।
কেলেঘাই-কপালেশ্বরী নদী সংস্কার প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনে এসে এলাকাবাসীর দাবি-দাওয়া শুনলেন রাজ্যের সেচ মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার পটাশপুর-১ ব্লকের আমগাছিয়া এলাকায় কেলেঘাই নদী খনন ও নদী বাঁধ সংস্কারের কাজ খতিয়ে দেখেন মন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী ও পটাশপুরের বিধায়ক জ্যোতির্ময় কর।
কেলেঘাই নদী সংস্কারের কাজ বেশ কিছু দিন হল থমকে ছিল। এই এলাকায় নদী খননের ক্ষেত্রে জমি অধিগ্রহণ জনিত সমস্যাও রয়েছে। এ দিন সেচমন্ত্রী ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি নদী সংলগ্ন সেচ দফতরের বাংলোর সামনে স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। পরে মন্ত্রী বলেন, ‘‘এখন জোর কদমে এই এলাকায় কেলেঘাই নদী সংস্কার ও বাঁধ মেরামতের কাজ চলেছে। তা দেখতেই এখানে আসা।’’ এলাকাবাসীর দাবী মেনে তিনি নদী সংযোগকারী সেচখালগুলির সংস্কারের এবং পালপাড়া বেসিন এলাকা পরিদর্শন করে সেখানেও সেচখাল তৈরির আশ্বাস দেন। সবং ও পটাশপুরের মধ্যে যোগাযোগের জন্য কেলেঘাই নদীর উপর তালাডিহা-খড়িকা কাঠের সেতু তৈরি করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
এ দিন কাঁথি শহরে পানিপিয়া খালে ‘রাজা বাজার’ কংক্রিট সেতুর উদ্বোধনও করেছেন সেচমন্ত্রী। সেচ দফতর সূত্রে খবর, প্রায় ১ কোটি ৭০লক্ষ টাকা ব্যয়ে ২৭ মিটার দীর্ঘ কংক্রিটের এই সেতু তৈরি হওয়ায় প্রায় চল্লিশ হাজার মানুষ উপকৃত হবেন। মন্ত্রীর দাবি, “বামফ্রন্ট সরকার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকেও গোটা কুড়ির বেশি বাঁশ বা কাঠের সেতুকে কংক্রিটের করার ব্যবস্থা করেনি। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর তাঁরই নিদের্শে সেচ ও জলপথ দফতর সারা রাজ্যে ১০৫টি কাঠ বা বাঁশের সেতুকে কংক্রিটের করেছে।” চলতি বছরেই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ শুরু করা হবে বলে এ দিন জানিয়েছেন সেচমন্ত্রী জানান। কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী সেচমন্ত্রীকে ‘কাজের ছেলে’ বলে প্রশংসাও করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy