Advertisement
E-Paper

কার্ড-জটে বন্ধ রেশন দোকান

কালীপুজোর পরেও খড়্গপুর শহরের সব রেশন দোকান বন্ধ। দাবি মতো রেশন বরাদ্দ না হওয়ায় সামগ্রী তোলেনি ডিলারেরা। অলিখিত ধর্মঘট চালাচ্ছেন শহরের প্রায় ১১০জন ডিলার।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৭ ০২:৪৩

ডিজিট্যাল রেশন কার্ড পাননি বেশিরভাগ শহরবাসী। অথচ ডিজিট্যাল কার্ড ছাড়া রেশন দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে খাদ্য সরবরাহ দফতর। এই নির্দেশিকার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে রেশন দোকান বন্ধ করেছিল রেশন ডিলারেরা। দীপাবলির আগে রেশন না পেয়ে দুর্ভোগে পড়েছিল শহরবাসী। পুরপ্রধানের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রেশন ডিলারেরা। আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল দীপাবলির আগেই শহরের নতুন-পুরনো দুই কার্ডেই রেশন দেওয়া হবে। কিন্তু অক্টোবরের তিনটি সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও দাবি পূরণ না হওয়ায় ক্ষুব্ধ ডিলারেরা।

কালীপুজোর পরেও খড়্গপুর শহরের সব রেশন দোকান বন্ধ। দাবি মতো রেশন বরাদ্দ না হওয়ায় সামগ্রী তোলেনি ডিলারেরা। অলিখিত ধর্মঘট চালাচ্ছেন শহরের প্রায় ১১০জন ডিলার। তাঁদের অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত শহরে যে সংখ্যক ডিজিট্যাল কার্ড বিলি হয়েছে, তার নিরিখে রেশন বিলি করলে দোকান চালানোর খরচ তোলা যাবে না। তার উপর যে সব গ্রাহক এখনও ডিজিট্যাল কার্ড হাতে পাননি, তাঁরাও ক্ষোভ জানাচ্ছেন রেশন দোকানেই। গত ১২অক্টোবর পুরপ্রধানের কাছে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের পরে শহরের সব গ্রাহকদের জন্য কালীপুজোর আগেই রেশন বরাদ্দ হবে বলে জানিয়েছিল পুরসভা ও খাদ্য সরবরাহ দফতর। কিন্তু তা হয়নি। ক্ষুব্ধ ডিলারেরা আগামী সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। খড়্গপুর রেশন ডিলার সংগঠনের সম্পাদক শিশির রায় বলেন, “আমরা পুরসভার হস্তক্ষেপ চাওয়ার পরে পুরপ্রধানের উদ্যোগে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে নতুন-পুরনো দুই কার্ডেই সামগ্রী দেওয়া হবে বলে বলেছিল দফতর। কিন্তু দীপাবলি পার হয়ে গেলেও পুরনো কার্ডে সামগ্রী বরাদ্দ করেনি খাদ্য দফতর। আর নতুন কার্ডে যা বরাদ্দ তাতে দোকানের বিদ্যুতের খরচটুকু উঠবে না। তাই সকলে দোকান বন্ধ রেখেছি।”

গত বছর থেকেই খড়্গপুর শহরে ডিজিট্যাল রেশন কার্ড নিয়ে শোরগোল পড়েছে। প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ জনসংখ্যার শহরে এখনও পর্যন্ত ১লক্ষ ১০হাজার ডিজিট্যাল কার্ড বিলি হয়েছে। নতুন করে ৭৬ হাজার রেশন কার্ড এসে পড়ে থাকলেও পুরসভা তা বিলি করতে পারেনি। ডিলার সংগঠনের দাবি, খড়্গপুর শহরে ১১০জন ডিলারের ৯০জনই ছোট ডিলার। সুভাষপল্লির ডিলার নরেন্দ্রনাথ দত্তের কথায়, “আমার ২৮০০জন গ্রাহক। তার মধ্যে মাত্র ৩০০জন ডিজিট্যাল কার্ড পেয়েছেন। দোকান বন্ধ রাখায় সমস্যাও হচ্ছে।”

জট কবে কাটবে তাও স্পষ্ট নয়। তবে পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার বলেন, “ওই ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের পরে কী হয়েছে তা কোনও রেশন ডিলার জানাননি। নতুন করে কেউ সমস্যা জানালে দেখব।” আর খাদ্য সরবরাহ দফতরের খড়্গপুর মহকুমা নিয়ামক মিঠুন দাস বলেন, “এখনও পর্যন্ত দফতর থেকে পুরনো কার্ডে সামগ্রী বরাদ্দের কোনও নির্দেশিকা পাইনি। তাই সেই পরিমাণ বরাদ্দ দিতে পারছি না। দফতরের সঙ্গে কথা চলছে। দেখা যাক কী হয়।”

Ration shop ration Ration card
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy