মন্দারমণিতে হোটেল ব্যবসার কথা ভাবছিলেন তরুণ। পূর্ব মেদিনীপুরের ওই পর্যটন কেন্দ্রে বন্ধুদের সঙ্গে বেড়ানোর পাশাপাশি সেখানে হোটেল ব্যবসার সম্ভাবনা, লাভ-লোকসানের খোঁজ নেওয়াও অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল বলে জানাচ্ছেন প্যারাগ্লাইডিং করতে গিয়ে মৃত তরুণ ঘোষের (৩৬) বাবা তপনবাবু।
মুর্শিদাবাদের রেজিনগর থানার পিলখানায় ঘোষ পরিবার সম্পন্ন ব্যবসায়ী পরিবার বলেই এলাকায় পরিচিত। রবিবার সকাল ন’টায় ছেলের তরুণের এক বন্ধুর মারফৎ তপনবাবু জানতে পারেন প্ল্যারাগ্লাইডিং করতে গিয়ে তাঁর ছেলের চোট লেগেছে। তাঁর কথায়, ‘‘আমি বললাম দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যা। কয়েক মিনিট পরের ফোনে শুনলাম সব শেষ!’’
এ দিন দুপুরে জোড়া সিংহের মূর্তি বসানো ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, ঘটনার আকষ্মিকতায় সকলেই বাকরুদ্ধ। বাম দিকের উঠোনে তরুণবাবুর মেয়ে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া মৌমিতা সমানে কেঁদে চলেছে। কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে তার ভাই, দশম শ্রেণির ছাত্র ঋত্বিক। মূল ভবনের প্রবেশ দ্বারে প্রতিবেশি, আত্মীয়দের ভিড়। বারান্দা পেরিয়ে বড় একটি ঘরে জন পঞ্চাশেক মহিলা-পুরুষ তখন সদ্য পুত্রহারা মা চায়নাদেবীকে ঘিরে রয়েছেন। কী বলে তাঁকে সান্ত্বনা দেবেন বুঝতে পারছেন না কেউই। থেকে থেকেই চায়নাদেবী ডুকরে কেঁদে উঠছেন। বলছেন, ‘‘তরুণ এ ভাবে চলে গেল!’’