জেলাশাসকের দফতরে বৈঠক। — নিজস্ব চিত্র।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালগুলিতে কী কী খামতি রয়েছে, তা নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসেছে প্রশাসন। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসকের দফতরে হয়েছে এই বৈঠক। সেখানে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গেই উপস্থিত ছিলেন মহকুমা হাসপাতালগুলির আধিকারিক, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের কর্তৃপক্ষ। জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, প্রস্তাব মেনে মেডিক্যাল কলেজে বসানো হবে আরও প্রায় ৮১৫টি সিসি ক্যামেরা। শুরু হবে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরির কাজ।
আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে জুনিয়র চিকিৎসকেরা পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন। তার মধ্যে হাসপাতালে নিরাপত্তা এবং পরিকাঠামো সংস্কারের দাবি তুলেছেন তাঁরা। সু্প্রিম কোর্টও এই নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার কথা বলেছে। এই আবহে পশ্চিম মেদিনীপুরে জেলাশাসকের দফতরে হল বৈঠক।
বৃহস্পতিবারের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি, পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গী, মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মৌসুমী নন্দী এবং জেলা পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিক, পূর্ত দফতরের আধিকারিকেরা। মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের নিরাপত্তা থেকে বিশ্রামকক্ষ, সীমানা ঘিরে প্রাচীর তৈরির বিষয়গুলি উঠে এসেছে বৈঠকে। জেলাশাসক খুরশিদ বলেন, ‘‘জেলার সব হাসপাতালে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী আরও সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। যেখানে প্রাচীর তৈরির প্রয়োজন রয়েছে, তা করা হবে।’’
খুরশিদ আরও জানিয়েছেন, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে ২৯৭টি সিসি ক্যামেরা রয়েছে। সেখানে আরও নতুন ৮১৫টি সিসি ক্যামেরা বসানোর প্রস্তাব এসেছে। সেগুলি কার্যকর করা হবে। মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মৌসুমী বলেন, ‘‘হাসপাতাল এবং কলেজের পরিকাঠামোগত কিছু সমস্যার তথ্য জানানো হয়েছে। সেগুলির কাজ শুরু হবে।’’ জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশঙ্কর জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী পরিকাঠামোগত বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বিশ্রামকক্ষ, শৌচালয় তৈরি কাজ শুরু হবে। হস্টেলগুলিতে অতিরিক্ত ৮১৫টি সিসি ক্যামেরা লাগানো হবে। বৃহস্পতিবারই পূর্ত দফতরকে জানিয়ে দেওয়া হবে। খুব দ্রুত সেই কাজ শুরু করার কথাও বলা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy