E-Paper

জঙ্গলমহল এলাকায় রামনবমী আয়োজনে জোর আরএসএসের

গত বছর ঝাড়গ্রাম জেলায় সঙ্ঘের কার্যকর্তা এবং হিন্দু সমাজের উদ্যোগে ৩৬টি জায়গায় রামনবমীর শোভাযাত্রা বেরিয়েছিল। এ বার আগামী ৬ এপ্রিল, রবিবার রামনবমীর দিন জেলার ৭০টি জায়গায় শোভাযাত্রার আয়োজন করা হচ্ছে।

কিংশুক গুপ্ত

শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২৫ ০৮:৪৫

— প্রতীকী চিত্র।

আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা ভোট। তার আগে, এ বার রাজ্যের জঙ্গলমহলে জনজাতি ও মূলবাসী-বলয়ে রামনবমী আয়োজনে বাড়তি তৎপর রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)। বাড়ানো হচ্ছে রামনবমীর শোভাযাত্রার সংখ্যাও।

গত বছর ঝাড়গ্রাম জেলায় সঙ্ঘের কার্যকর্তা এবং হিন্দু সমাজের উদ্যোগে ৩৬টি জায়গায় রামনবমীর শোভাযাত্রা বেরিয়েছিল। এ বার আগামী ৬ এপ্রিল, রবিবার রামনবমীর দিন জেলার ৭০টি জায়গায় শোভাযাত্রার আয়োজন করা হচ্ছে। গত বছর মূলত ঝাড়গ্রাম শহর, লোধাশুলি, মানিকপাড়া, লালগড়, বিনপুর, শিলদা, বেলপাহাড়ি, বেলিয়াবেড়া, গোপীবল্লভপুরের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় শোভাযাত্রা হয়েছিল। সঙ্ঘ সূত্রের খবর, এ বার অঞ্চলভিত্তিক রামনবমীর অনুষ্ঠান হবে। সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখা ও ধার্মিক সংগঠনগুলির পাশাপাশি, এলাকায় রামনবমী উদযাপন কমিটির উদ্যোগে শোভাযাত্রা বেরোবে।

সঙ্ঘের মেদিনীপুর বিভাগের সম্পর্ক প্রমুখ উত্তম বেজের দাবি, ‘‘সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে মানুষের মধ্যে রাষ্ট্রীয় চেতনা ও হিন্দুত্ববোধ জাগরিত হচ্ছে। রামনবমীর শোভাযাত্রার সংখ্যা বৃদ্ধি তারই প্রমাণ।’’

সঙ্ঘের মেদিনীপুর বিভাগের অধীনে ঝাড়গ্রাম জেলায় সঙ্ঘের দশটি ‘খণ্ড’ (ব্লক), ৭৯টি ‘মণ্ডল’ (গ্রাম পঞ্চায়েত) এবং একটি ‘নগর’ (পুর এলাকা) রয়েছে। সূত্রের খবর, ‘হিন্দুত্ব জাগরণ’ বিস্তারে জনজাতি প্রধান এলাকায় সঙ্ঘের প্রচারে রামায়ণের নিষাদরাজ গুহকের কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয়। উপজাতি সম্প্রদায়ের রাজা গুহক ছিলেন রামের বাল্যসখা। বনবাসকালে রাম, সীতা, লক্ষ্মণের সেবা করেছিলেন তিনি। রামায়ণের সে কাহিনি সামনে রেখে জনজাতি এলাকায় কাজ করে চলেছে সঙ্ঘের ১৪টি শাখা সংগঠন। রামনবমীর আয়োজনও হবে সে আবহেই। সঙ্ঘের এক প্রমুখের দাবি, ‘‘নিষাদরাজের মিত্র রামচন্দ্র যে ‘রামরাজ্য’ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, সেখানে সকলের সমানাধিকার ছিল। এই বিষয়টিও প্রচারে আনা হচ্ছে। সুফলও মিলছে।’’

‘সারা ভারত সাঁওতালি লেখক সঙ্ঘ’-এর সদস্য, সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত সাঁওতালি সাহিত্যিক নিরঞ্জন হাঁসদা যদিও মনে করেন, ‘‘রামচন্দ্র কতটা আদিবাসী-মূলবাসীদের প্রিয় ছিলেন, এটা প্রচারের চেষ্টা হতেই পারে। তবে শুধু মহাকাব্য পড়ে, রামচন্দ্রের সঙ্গে গুহকের বন্ধুত্বের কাহিনি সামনে রেখে, আদিবাসীদের মন ছুঁতে চাওয়ার মধ্যে কোনও বাস্তবতা নেই।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

RSS jangalmahal Ram Navami 2025

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy