ছাত্রীদের স্কুলমুখী করতেই একটা সময় চালু হয়েছিল কন্যাশ্রী প্রকল্প। পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক পরিবারের বহু মেয়ের পড়াশোনার স্বপ্ন যে এই প্রকল্পের হাত ধরে সত্যি হয়েছে, সেটাও ঠিক। তবে জঙ্গলমহলের দুই জেলা ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে এ বারের মাধ্যমিকে গরহাজির পরীক্ষার্থীদের মধ্যে কন্যাশ্রীদের সংখ্যাধিক্য পর্ষদকে ভাবাচ্ছে। এর কারণ জানতে তথ্য সংগ্রহের উদ্যোগ করছে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের
(মাধ্যমিক) দফতর। ঝাড়গ্রাম জেলায় এ বার নথিভুক্ত মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৩,৬৭৭ জন। তবে পর্ষদ সূত্রে খবর, পরীক্ষা দিচ্ছে ১৩,৫১০ জন। অনুপস্থিত ১৬৭ জনের মধ্যে ছাত্রী ১২৩ জন, ছাত্র ৪৪ জন। ওই ১২৩ জন ছাত্রীই কন্যাশ্রী প্রকল্পের আওতায় রয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, নবম শ্রেণিতে নাম নথিভুক্তি (রেজিস্ট্রেশন) হয়েছিল, কিন্তু মাধ্যমিক দিচ্ছে না, পশ্চিম মেদিনীপুরে এমন ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ছিল ৬,৫০৯। এর মধ্যে ছাত্র ৩,৯৪৪জন। আর ছাত্রী ২,৫৬৫জন। সংখ্যাটা উদ্বেগ জাগানোর মতোই, মানছে জেলার শিক্ষামহলের একাংশ। স্কুল ছাত্রীরা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে দু’টি পর্যায়ে কন্যাশ্রী প্রকল্পে টাকা পায়।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)