Advertisement
২০ মে ২০২৪

জামিন মঞ্জুর ছয় বিজেপি নেতা-কর্মীর

রক্তিম শুভেচ্ছা। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকের খাসতালুক নারায়ণগড়ে সভায় লাল গোলাপে অভ্যর্থনা মমতাকে। — সৌমেশ্বর মণ্ডল।নয়াগ্রামের ছয় বিজেপি নেতা কর্মীর জামিন মঞ্জুর করল ঝাড়গ্রাম দ্বিতীয় এসিজেএম আদালত। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য একাধিক ধারায় দু’টি মামলা দায়ের করেছিল পুলিশ। গত তিন দিন তাঁরা ঝাড়গ্রাম বিশেষ সংশোধনাগারে ছিলেন।

জামিনের পর বিজেপি নেতা সুখেন্দু পাত্র

জামিনের পর বিজেপি নেতা সুখেন্দু পাত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০১৬ ০১:৪০
Share: Save:

নয়াগ্রামের ছয় বিজেপি নেতা কর্মীর জামিন মঞ্জুর করল ঝাড়গ্রাম দ্বিতীয় এসিজেএম আদালত। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য একাধিক ধারায় দু’টি মামলা দায়ের করেছিল পুলিশ। গত তিন দিন তাঁরা ঝাড়গ্রাম বিশেষ সংশোধনাগারে ছিলেন। শুক্রবার অভিযুক্তদের জামিনের আবেদনের শুনানির জন্য কেস ডায়েরি (সিডি)-সহ দু’টি মামলার দু’জন তদন্তকারী অফিসারকে আদালতে ব্যক্তিগত ভাবে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক।

কিন্তু এ দিন দু’টি মামলারই কেস ডায়েরিতে অভিযোগের সমর্থনে সন্তোষজনক তথ্য না-পেয়ে ছয় অভিযুক্তেরই জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক। অভিযোগের গুরুত্ব না বুঝে গুরুতর ধারায় মামলা দায়ের করার জন্য তদন্তকারী অফিসাদের মৃদু ভর্ৎসনাও করেন বিচারক। খুনের চেষ্টার ধারার (ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ নম্বর ধারা) মামলায় অভিযুক্তরা জামিন পেয়ে যাওয়ায় পুলিশের বিরুদ্ধে সাজানো মামলার তত্ত্ব প্রকাশ্যে এসেছে বলে সরব হয়েছে বিজেপি।

ঘটনা হল, ভোটপর্ব মেটার পরে গত মঙ্গলবার সকালে নয়াগ্রাম থানার তেঁতুলডাঙা গ্রামে তৃণমূল ও বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় মারপিট হয়। তৃণমূলের অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্তদের ধরতে তেঁতুলডাঙায় যায় পুলিশ। পুলিশ অভিযুক্ত বিজেপি-র লোকজনকে ধরপাকড় শুরু করতেই শুরু হয় অশান্তি। অভিযোগ, পুলিশ লাঠিপেটা করে বিজেপি-র ঝাড়গ্রাম জেলা সম্পাদক সুখেন্দু পাত্র-সহ বিজেপি-র ছয় জনকে গ্রেফতার করে। তেঁতুলডাঙার চন্দনা পাইক নামে ‘আক্রান্ত’ এক মহিলার স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা-সহ নানা গুরুতর ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ।

এ দিন আদালতে অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী অন্তরীক্ষ সিংহ ও দীপঙ্কর ধর দাবি করেন, দু’টি মামলাই সাজানো। প্রথম মামলাটির সিডিতে মেডিক্যাল রিপোর্টে চন্দনাদেবীর শরীরে গুরুতর আঘাতের কোনও উল্লেখই ছিল না। তাহলে কীভাবে খুনের চেষ্টার ধারা দেওয়া হল? তদন্তকারী অফিসারকে সেই প্রশ্ন করেন বিচারক। দৃশ্যতই বিরক্ত বিচারক টিকেন্দ্রনারায়ণ প্রধান বলেন, “আপনারা কী চোখ বন্ধ করে ধারা গুলি প্রয়োগ করেন নাকি!”

পুলিশের সুয়োমোটো মামলাটির অভিযোগের সমর্থনে সিডিতে যে তথ্য ও ব্যাখা দেওয়া হয়েছে, তাতে সন্তুষ্ট হননি বিচারক। এদিন আদালতে তৃণমূল কর্মী চন্দনা পাইকের বাবা ও মা হাজির হন। তাঁরা আদালতে দরখাস্ত দাখিল করে জানান, তাঁদের মেয়ে সুস্থ অবস্থায় গ্রামে রয়েছেন। এরপরই বিচারক দু’টি মামলাতেই ছয় অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করেন। ঝাড়গ্রাম দ্বিতীয় এসিজেএম আদালতের সরকারি কৌঁসুলি পবিত্র রানা বলেন, “সিডিতে সাধারণ আঘাতের (সিম্পল ইনজুরি) কথা থাকায় আদালত অভিযুক্তদের জামিন মঞ্জুর করেছে।” বিজেপি-র ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি সুখময় শতপথী বলেন, “তৃণমূলের কথায় পুলিশ যে মামলা সাজয়েছিল তা প্রমাণ হয়ে গেল।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

BJP Bail Sukhendu
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE