সমুদ্র ভাঙ্গনের আতঙ্কে ভুগছেন সৈকত পর্যটনকেন্দ্র মন্দারমণির কোল ঘেঁষা নিউ জলধা, শঙ্করপুর ও জলধার গ্রামবাসীরা। একটানা কয়েকদিনের বৃষ্টি আর সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসের জেরে সমুদ্র উপকূলের শঙ্করপুর, জলধার সমুদ্রবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সমুদ্রগর্ভে তলিয়ে যেতে বসেছে নিউ জলধা মৎস্যখটি। বেশ কিছুটা ইতিমধ্যেই সমুদ্রগর্ভে চলে গিয়েছে।
রামনগর-২ ব্লকের কালিন্দী গ্রামপঞ্চায়েতের সৈকত পর্যটনকেন্দ্র মন্দারমণি লাগোয়া নিউ জলধা মৎস্যখটিতে তিন হাজারেরও বেশি মৎস্যজীবী বসবাস করেন। কাঁথি মহকুমা খটি মৎস্যজীবী উন্নয়ন সমিতির সম্পাদক লক্ষীনারায়ণ জানা বলেন, “নিউ জলধার অস্তিত্ব প্রায় বিপন্ন। নিম্নচাপের জেরে গত কয়েকদিন ধরে টানা বর্ষণে সমুদ্র উত্তাল। তার ফলে মৎস্যখটির বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বেশ কিছুটা অংশ সমুদ্রগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে।” ভাঙ্গনের কবল থেকে বাঁচতে তারের জাল দিয়ে বোল্ডার ফেলে সমুদ্রবাঁধ তৈরির দাবি তুলেছেন মৎস্যজীবীরা। কাঁথির মহকুমাশাসক রিনা নিরঞ্জন, রামনগর-২ বিডিও প্রীতম সাহা-সহ এক প্রতিনিধি দল নিউ জলধার ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। জলোচ্ছ্বাসে শঙ্করপুর ও জলধা সমুদ্র বাঁধেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পরে এক প্রশাসনিক সভায় জলধা ও শঙ্করপুর এলাকায় পাঁচ কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্থ সমুদ্র বাঁধ দ্রুত মেরামতের সিদ্ধান্ত হয়। রামনগরের তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরি জানান, “ভাদ্র মাসের কোটালে সমুদ্র আরও বেশি উত্তাল হবে, জলোচ্ছ্বাসও বাড়বে। সে জন্য আগাম ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। সেচমন্ত্রীকে গোটা পরিস্থিতিটা জানানো হয়েছে। তিনি সেচ দফতরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।”
সচেতনতায়। ১ অগস্ট থেকে ১২ অগস্ট পর্যন্ত পথ নিরাপত্তা ও সচেতনতা সভার আয়োজন হয়েছে। বুধবার কাঁথি সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডে এমনই এক সভায় হাজির ছিলেন অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার জাফর আজমল কিদোয়াই। সভার আগে শোভাযাত্রা শহর পরিক্রমা করে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)