Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
Tamluk

আবার পদ হারালেন সৌমেন! প্রাক্তন সেচমন্ত্রীকে সরিয়ে সরকারি পদে বসানো হল তৃণমূলের পুরনো সৈনিক চিত্তকে

তমলুকে সভা করতে গিয়ে দলের পুরনো কর্মী চিত্তরঞ্জন মাইতির খোঁজ নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি কোনও সরকারি বা সাংগঠনিক পদে আছেন কি না তা-ও জানতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

এক ব্যক্তি এক পদ নীতির জেরেই অপসারণ?

এক ব্যক্তি এক পদ নীতির জেরেই অপসারণ? ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
তমলুক শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১২:৩৪
Share: Save:

মন্ত্রিত্ব হারিয়েছিলেন, এ বার সরকারি পদও খোয়ালেন তমলুকের তৃণমূল বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্র। তমলুকের জেলা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানো হল সৌমেনকে। তাঁর বদলে ওই পদে দায়িত্ব নিলেন ওই জেলায় তৃণমূলের দীর্ঘ দিনের নেতা চিত্তরঞ্জন মাইতি।

সপ্তাহখানেক আগেই পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা প্রশাসনিক বৈঠকে এসে চিত্তরঞ্জনের খোঁজ নিয়েছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি, তিনি কোনও সরকারি পদে রয়েছেন কি না তা-ও জানতে চেয়েছিলেন মমতা। তার অনতিবিলম্বেই এই পদোন্নতি। বুধবার তমলুকের জেলা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির নতুন চেয়ারম্যান হিসাবে চিত্তরঞ্জনের নাম ঘোষণা করে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।

একটি সরকারি নির্দেশিকা জারি করে এই রদবদলের কথা জানানো হয়। তবে তার পর থেকেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক গুঞ্জন। অনেকেই মনে করছেন, এর আগে তৃণমূলের নতুন নীতি ‘এক ব্যক্তি এক পদ’-এর কথা জানিয়ে সৌমেনকে সেচমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছিল। তমলুকের সাংগঠনিক পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। পাশাপাশি রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদটিও বহাল ছিল তাঁর। কিন্তু বুধবার সেই পদটিও যাওয়ায় অনেকে মনে করছেন, এই সিদ্ধান্তও ওই একই নীতির জের হতে পারে।

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সফরে প্রশাসনিক বৈঠকের পর মমতার সঙ্গে দেখা করেছিলেন চিত্তরঞ্জন। তাঁর ছেলে পার্থপ্রতিম মাইতি এখন তাম্রলিপ্ত পুরসভার কাউন্সিলর। এমনকি, পার্থপ্রতিম অভিষেক ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচিত রাজনৈতিক মহলে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Soumen Mahapatra Tamluk East Midnapore
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE