চলছে জাতীয় সড়কে নজরদারি। তমলুক টোলপ্লাজার কাছে। নিজস্ব চিত্র
বড়দিন থেকে ইংরাজি নববর্ষের ছুটিতে দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর-সহ জেলার পর্যটন কেন্দ্র ও পিকনিক স্পটগুলিতে পর্যটকেরা ভিড় করতে শুরু করেছেন। কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে সড়কপথে এইসব পর্যটনকেন্দ্রে গাড়ি নিয়ে যাতায়াতের ভরসা হলদিয়া-মেচেদা ৪১ নম্বর জাতীয় সড়ক এবং নন্দকুমার- দিঘা ১১৬ বি জাতীয় সড়ক। কিন্তু বাস, গাড়িতে যাতায়াতের সময় চালকদের বেপরোয়া গতির জেরে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ, যানবাহনের বেপরোয়া গতির জেরে সাম্প্রতিক কালে কয়েকটি দুর্ঘটনার নজিরও রয়েছে।
এ ছাড়া কিছু চালক মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর জেরেও দুর্ঘটনা ঘটে। উৎসবের মরসুমে ওই ধরনের দুর্ঘটনা বাড়ে। এই পরিস্থিতিতে জাতীয় সড়কগুলিতে যানবাহনের গতিতে রাশ টানতে অভিযানে নামল জেলা ট্রাফিক পুলিশ ও মোটর ভেহিকেলস্ দফতর। বিভিন্ন সড়কে চলাচলকারী গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণে সড়কের বিভিন্নস্থানে গাড়ির গতি বেঁধে দিয়ে আগেই বোর্ড লাগিয়েছে জেলা প্রশাসন। নতুন গাড়িগুলিতে ‘স্পিড গভর্নর’ বসানো থাকলেও চালকদের একাংশ ওই সব নিয়ম ভেঙে বেপোরোয়া গতিতে গাড়ি চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে দুর্ঘটনা ঘটছে। শনিবার ও রবিবার হলদিয়া–মেচেদা ও নন্দকুমার-দিঘা জাতীয় সড়কে অভিযান চালাতে গিয়ে তাঁর প্রমাণ মিলেছে। ওই সড়কে ‘স্পিড লেজারগান’ বসিয়ে গাড়ির গতির পরীক্ষার সময় ধরা পড়ে কোনও কোনও গাড়ি ১০০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে চলছে। পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি বাসের অনেকে নির্ধারিত গতির চেয়ে বেশি গতিতে চলাচল করছে। শনিবারই হলদিয়ার কাছে ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কে দু’টি পৃথক দুর্ঘটনায় দু‘জন মারা যান।
ইতিমধ্যেই জেলা ট্রাফিক পুলিশ ও মোটর ভেহিকেল দফতরের দফতরের যৌথ অভিযানে বেপোরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর অভিযোগে হলদিয়া-মেচেদা জাতীয় সড়কে ৫৮ জন চালকের লাইসেন্স সাময়িক ভাবে বাতিল করা হয়েছে। ‘স্পিড গভর্নর’ খুলে ফেলার অভিযোগে তিনটি গাড়ি আটক করেছে মোটর ভেহিকেলস্ দফতর।
জেলার ডিএসপি (ট্রাফিক) আমিনুল ইসলাম খান ও পরিবহণ দফতরের মোটর ভেহিকেল ইনস্পেক্টর গণেশ পাঁজার নেতৃত্বে শনিবার হলদিয়া–মেচেদা জাতীয় সড়কে তমলুকে টোলপ্লাজার কাছে ও নন্দকুমারে খঞ্চির কাছে গাড়ির গতি ও চালক মদ্যপ অবস্থায় রয়েছে কিনা পরীক্ষা করা হচ্ছিল। অভিযানের সময় বেপোরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর অভিযোগে সরকারি, বেসরকারি বাস ও গাড়ি মিলিয়ে ৫৮ জন চালকের লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করা হয়। রবিবার নন্দকুমার– দিঘা জাতীয় সড়কে হেঁড়িয়া, মারিশদা ও দিঘার কিছু আগে ‘স্পিড লেজার গান’ বসিয়ে গাড়ির গতি পরীক্ষার সময়েও বেশকিছু গাড়িচালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
জেলার ডিএসপি (ট্র্যাফিক) আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘‘উৎসবের মরসুমে দিঘা-সহ জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে যাতায়াতের পথে দুর্ঘটনা রুখতে বেপোরোয়া গতি ও মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর বিরুদ্ধে অভিযান হচ্ছে। পয়লা জানুয়ারি পর্যন্ত অভিযান চলবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy