Advertisement
E-Paper

তারে গা ঘেঁষতেই ছিটকে মাটিতে! হনুমান তাড়াতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি এগরার একাদশের পড়ুয়ার

পাশের পান বরজের গা ঘেঁষে যাওয়ার সময় একটি খোলা তারে জড়িয়ে যায় ছাত্রটি। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে বিকট শব্দ হয়। ছিটকে মাটিতে পড়ে ছেলেটি। তার গা থেকে ধোঁয়া বেরোতে শুরু করে।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৩:০০
death

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

একদল হনুমান ঢুকে পড়েছিল বাদাম ক্ষেতে। তাদের তাড়াতে গিয়ে পাশের পানের বরজে জড়ানো বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে বেঘোরে প্রাণ গেল এক স্কুলছাত্রের। পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা থানার বেনাচাকড়ি গ্রামের ঘটনা।

মৃতের নাম সন্তোষ দাস (১৭)। জেড়থান গয়াপ্রসাদ বিদ্যাপীঠের একাদশ শ্রেণির ছাত্রটি শনিবার দুপুর ২টো নাগাদ বাড়ির অদূরে বাদাম ক্ষেতে গিয়েছিল। একদল হনুমান ঢুকে ক্ষেতের ফসল নষ্ট করছিল বলে তাদের তাড়া করতে যায় সন্তোষ। পাশের পান বরজের গা ঘেঁষে যাওয়ার সময় একটি খোলা তারে জড়িয়ে যায় ছাত্রটি। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে বিকট শব্দ হয়। ছিটকে মাটিতে পড়ে ছেলেটি। তার গা থেকে ধোঁয়া বেরোতে শুরু করে। স্থানীয়েরা দেখতে পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান।

তবে খোলা তারে থাকা বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে কিশোরটিকে উদ্ধারে বেশ খানিকটা সময় পেরিয়ে যায়। সংজ্ঞাহীন অবস্থায় সন্তোষকে এগরা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, নিরঞ্জন দাস নামে ওই পান বরজের মালিক চুরি ঠেকাতে অবৈধ ভাবে বরজের চারপাশে বিদ্যুৎবাহী তার লাগিয়ে রেখেছিলেন। ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় নিরঞ্জনের শাস্তির দাবি তুলেছেন এলাকাবাসীরা। ইতিমধ্যে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

মৃত ছাত্রের জেঠু বেণীমাধব দাস বলেন, “নিরঞ্জন দাস অবৈধ ভাবে পানের বরজের চারদিকে খোলা বিদ্যুতের তার পেতে রেখেছিল। সেই তারে জড়িয়ে ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। চুরি ঠেকানোর নামে বিপজ্জনক ভাবে বিদ্যুতের তার জড়িয়ে রেখেছিল ও। এই জন্য বাড়ির ছেলেকে হারালাম আমরা। আমরা ওই ব্যক্তির কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছি।’’ এগরা থানার পুলিশ সূত্রের খবর, রবিবার ছাত্রের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Electrocuted to death Egra Purba Midnapore
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy