নাবালক নাতির সামনে ঠাকুরমাকে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে বাড়িতে লুটপাট চালাল একদল দুষ্কৃতী। রবিবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হবিপুর থানার বুলবুলচণ্ডীর কেন্দুয়া গ্রামে। রক্তাক্ত অবস্থায় আন্নাবালা মৃধা নামে আক্রান্ত বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে ভর্তি করানো হয়েছে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
শনিবার কেন্দুয়া গ্রামে কীর্তনের আসর বসেছিল। রাতভর কীর্তন চলছিল। সেই সুযোগে একটি বাড়িতে ঢুকে পড়ে কয়েক জন দুষ্কৃতী। যে বাড়িতে তারা ঢোকে, সেই পরিবারের বড় ছেলে সুব্রত মৃধা সেনায় কর্মরত। এখন কর্মসূত্রে রয়েছেন ত্রিপুরায়। বাড়িতে তাঁর স্ত্রী, নাবালক দুই পুত্র এবং বৃদ্ধা মা থাকেন। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা প্রথমে বৃদ্ধার ঘরে ঢোকে। ঘর থেকে জিনিসপত্র লুট করতে শুরু করে। বাধা দিতে গেলে ঘরে রাখা বঁটি দিয়ে বৃদ্ধাকে ক্ষতবিক্ষত করে অভিযুক্তেরা।
তার পর তারা ঢোকে পাশের ঘরে। সেখান থেকে নগদ টাকা এবং সোনার অলঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যায়। মৃধা পরিবারের সদস্যেরা চিৎকার-চেঁচামেচি করে সাহায্য চেয়েছিলেন। কিন্তু গ্রামে তিন দিন ধরে কীর্তনের আসর চলছিল। সেই শব্দ ছাপিয়ে তাঁদের আর্তনাদ কারও কানে পৌঁছয়নি।
আরও পড়ুন:
দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যাওয়ার পরে লোক জানাজানি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তবে এখনও কোনও অভিযুক্ত ধরা পড়েননি। গোটা ঘটনায় আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। অনেকে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। তাঁদের অভিযোগ, রাতে পুলিশি টহলদারি ঢিলেঢালা হওয়ার সুযোগে দুষ্কৃতী কার্যকলাপ বাড়ছে এলাকায়। মালদহ জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদবের সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, ‘‘ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’’