তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা কার্যকরী সভানেত্রীর দায়িত্ব পেলেন দেবলীনা নন্দী। দেবলীনা বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সভানেত্রী। রবিবার তিনি এই নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন। টিএমসিপির রাজ্য সভাপতি অশোক রুদ্র বলেন, “দেবলীনাকে জেলা কার্যকরী সভানেত্রী করা হয়েছে।” দলের এক সূত্রে খবর, এ দিন সকালে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা হয় অশোক রুদ্রের। তখনই বিশ্ববিদ্যালয়ের এই নেত্রীকে টিএমসিপির জেলা কার্যকরী সভানেত্রী করার নির্দেশ দেন তৃণমূলনেত্রী।
গত ১৫ মে কলকাতায় টিএমসিপির এক সভা ছিল। ওই সভায় বক্তব্য রাখেন দেবলীনা। সভায় উপস্থিত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেদিনীপুরের এই ছাত্রীর বক্তব্য তাঁর ভালও লাগে। সম্প্রতি, পশ্চিম মেদিনীপুর সফরে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ঝাড়গ্রামে এসে তিনি দলের নেতাদের নিয়ে এক বৈঠকও করেন। সাংগঠনিক বৈঠকে জেলা নেতাদের বিভিন্ন বিধানসভা এলাকার দায়িত্ব ভাগ করে দেন। ওই বৈঠকেই টিএমসিপির জেলা সভাপতি রমাপ্রসাদ গিরিকে সরিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী। পরে অবশ্য তিনি মত বদলান। আপাতত, রমাপ্রসাদকেই কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। পশ্চিম মেদিনীপুরে টিএমসিপির গোষ্ঠী কোন্দল নতুন কিছু নয়। টিএমসিপির একাংশ মনে করছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন্দলে রাশ টানতেই ছাত্র সংসদের সভানেত্রী দেবলীনাকে জেলার কার্যকরী সভানেত্রী করা হল। অন্য অংশের অবশ্য মত, ওই ছাত্রীকে জেলার গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়ে আসলে টিএমসিপির জেলা সভাপতির ক্ষমতাই খর্ব করা হল।
টিএমসিপির জেলা সভাপতি রমাপ্রসাদ গিরি অবশ্য বলছেন, “দেবলীনা ভাল মেয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠনটা ভাল ভাবেই করেছে। আশা করি, আগামী দিনে ও আরও ভাল কাজ করবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy