Advertisement
E-Paper

শিক্ষক দিবসে পড়ুয়াদের পাতে ইলিশ

শিক্ষক দিবসে পড়ুয়াদের দুপুরের আহারেও বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করেন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তাঁরা ঠিক করেন, এই দিনে পড়ুয়াদের ইলিশ খাওয়ানো হবে। সেই মতো সব বন্দোবস্ত হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৬:৩০
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

শিক্ষক দিবসে প্রথামাফিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান তো হলই। সঙ্গে এ দিনের মধ্যাহ্ন ভোজেও ছিল চমক। অন্য দিনের একঘেঁয়েমি রান্না নয়, মঙ্গলবার কেশপুরের ঝেঁতলা শশীভূষণ উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের পাতে পড়ল ইলিশ!

ছাত্রছাত্রীরাই এ দিন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ভূমিকা নিয়েছিল। দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী সোমাশ্রী বেরা, নবম শ্রেণির ছাত্রী অঙ্কিতা চৌধুরী, নবম শ্রেণির ছাত্র সত্যব্রত শূর, নবম শ্রেণির ছাত্র সুজয় চৌধুরীরাই সহপাঠীদের পড়িয়েছে। স্কুলের শুরু থেকে শেষ-সব কিছুর দেখভালও করেছে তারাই।

শিক্ষক দিবসে পড়ুয়াদের দুপুরের আহারেও বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করেন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তাঁরা ঠিক করেন, এই দিনে পড়ুয়াদের ইলিশ খাওয়ানো হবে। সেই মতো সব বন্দোবস্ত হয়। মেদিনীপুর থেকে প্রায় ৫০ কিলোগ্রাম ইলিশ আনা হয়। শেষপাতে ছিল রসগোল্লা ও আইসক্রিমও। স্কুলের প্রায় ৮৫০ জন ছাত্রছাত্রী এ দিন মিড ডে মিল খেয়েছে। নবম শ্রেণির ছাত্র সুজয় বলছিল, “আজ মনে হল যেন ভোজবাড়ির খাওয়া! মাঝে মধ্যে এমন হলে বেশ ভালই হয়!”

শিক্ষক দিবস উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। সেই অনুষ্ঠানও পরিচালনা করে ছাত্রছাত্রীরা। অনুষ্ঠানে যোগ দেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। উপহার হিসেবে তাঁদের হাতে কলম তুলে দেয় অঙ্কিতারা। পড়ুয়াদের দেওয়া কলম হাতে নিয়ে ঝেঁতলা শশিভূষণ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নারায়ণপ্রসাদ চৌধুরী বলছিলেন, “এই কলম আমাদের সব সময় মনে করিয়ে দেবে ছাত্রছাত্রীদের প্রতি কতটা কর্তব্য ও দায়িত্ব পালন করেছি।” ছেলেমেয়েদের আনন্দ দেখে তৃপ্ত স্কুলের সহ-শিক্ষকেরাও। স্কুলের প্রধান শিক্ষক নারায়ণপ্রসাদবাবু বলছিলেন, “বাজারে এখন সস্তায় ভাল ইলিশ মিলছে। তাই সকলে মিলে ঠিক করি, এই দিনে স্কুলে ইলিশ খাওয়ানো হলে মন্দ হয় না। সেই মতোই পড়ুয়াদের পাতে ইলিশ দেওয়া হয়েছে।” পাত পড়তেই এক-এক করে দুপুরের আহার খেতে বসে পড়ে পড়ুয়ারা। পাতে ইলিশ পড়তেই শুরু হয় কব্জি ডুবিয়ে খাওয়া। দিনের শেষে স্কুলের এক সহ-শিক্ষকও বলছিলেন, “আজকের দিনটা সত্যি একটু অন্য রকম ভাবে কাটল।”

দিন কয়েক আগে কেশপুরের লক্ষ্মীনারায়ণ হাইস্কুলের মিড-ডে মিলেও ইলিশ খাওয়ানো হয়। স্কুলের প্রায় ৬০০ জন পড়ুয়াকে মিড ডে-মিল খাওয়ানো হয়। কেনা হয় প্রায় ৩০ কিলোগ্রাম ইলিশ। মঙ্গলবার শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান শেষে ইলিশ খেয়ে আপ্লুত পড়ুয়া বলছিল, ‘‘এমন দিন বারবার এলে ভালই হবে।’’

Mid day Meal Teachers Day Hilsa Fish কেশপুর
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy