Advertisement
E-Paper

সব ঠিকমতো চলছে না, উষ্মা শুভেন্দুর

এ দিন ঝাড়গ্রাম রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের সভা ও প্রার্থনাগৃহের উদ্বোধনে এসেছিলেন শুভেন্দু। তার আগে মিশনেরই একটি ঘরে জেলাশাসক আয়েষা রানি ও জেলা পুলিশ সুপার অমিতকুমার ভরত রাঠৌরকে নিয়ে সংক্ষিপ্ত বৈঠক করেন পরিবহণমন্ত্রী।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ০০:৫২
রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের প্রেসিডেন্ট স্বামী স্মরণানন্দকে প্রণাম শুভেন্দুর। নিজস্ব চিত্র

রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের প্রেসিডেন্ট স্বামী স্মরণানন্দকে প্রণাম শুভেন্দুর। নিজস্ব চিত্র

রেলশহর জয়ের পরে এ বার লক্ষ্য অরণ্যশহর! শনিবার ঝাড়গ্রামে এসে দলের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে ঘরোয়া বৈঠকে সেই বার্তাই দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের ঝাড়গ্রাম জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী।

এ দিন ঝাড়গ্রাম রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের সভা ও প্রার্থনাগৃহের উদ্বোধনে এসেছিলেন শুভেন্দু। তার আগে মিশনেরই একটি ঘরে জেলাশাসক আয়েষা রানি ও জেলা পুলিশ সুপার অমিতকুমার ভরত রাঠৌরকে নিয়ে সংক্ষিপ্ত বৈঠক করেন পরিবহণমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে আরও বেশি করে জেলার উন্নয়ন ও আইনশৃঙ্খলায় নজর দিতে বলেন শুভেন্দু। প্রশাসন ও পুলিশকে সমন্বয় রেখে কাজ করারও নির্দেশ দেন তিনি।

মিশনের অনুষ্ঠান শেষে ফের জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে জেলা সভাধিপতি মাধবী বিশ্বাস, তিন বিধায়ক সুকুমার হাঁসদা, চূড়ামণি মাহাতো ও দুলাল মুর্মু এবং জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী তথা জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারপার্সন বিরবাহা সরেনকে ডেকে নেন শুভেন্দু। বিধায়কদের জানিয়ে দেন, তাঁর কাছে খবর আছে ঝাড়গ্রামে সব ঠিকমতো চলছে না। শুভেন্দু বলেন, ‘‘মানুষের কাছে বেশি করে যান, অভাব-অভিযোগ শুনুন। মানুষের কথা শুনলে মানুষের ক্ষোভ প্রশমিত হবে।’’ পরে বিরবাহাকে শুভেন্দু জানিয়ে দেন আগামী ১৭ ডিসেম্বর লোধাশুলির ‘পথের সাথী’তে সাংগঠনিক বৈঠক করতে আসবেন।

এ দিন কাঁথি থেকে কপ্টারে আসেন শুভেন্দু। সকাল দশটায় ঝাড়গ্রাম হেলিপ্যাডে কপ্টার নামে। তারপর গাড়িতে শুভেন্দু যান সত্যবানপল্লিতে রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমে। ছিলেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের প্রেসিডেন্ট স্বামী স্মরণানন্দ, মঠ ও মিশনের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য স্বামী জ্ঞানব্রতানন্দ, ঝাড়গ্রাম রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের সম্পাদক স্বামী শুভকরানন্দ। মিশনের ঝাড়গ্রাম শাখার দ্বারোদ্ঘাটন করেন স্মরণানন্দ ও শুভেন্দু। শুভেন্দু বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী দায়িত্ব দেওয়ার পরে একলব্য স্কুলের উন্নয়নে মঠ ও মিশন যে ভাবে কাজ করছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।’’ ঝাড়গ্রাম রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম প্রাঙ্গণে ‘স্কিল ডেভেলপমেন্ট’ প্রতিষ্ঠানের পরিকাঠামো গড়তে সাহায্যের আশ্বাসও দেন শুভেন্দু। দুপুর বারোটা নাগাদ কপ্টারে হলদিয়া ফিরে যান শুভেন্দু। স্বামী স্মরণানন্দ বলেন, ‘‘মেদিনীপুর জেলার অনেক জায়গায় গিয়েছি। কিন্তু ঝাড়গ্রামে আগে আসা হয়নি। এখানকার আদিবাসী-মূলবাসী সহ সকলের মঙ্গল কামনা করি।’’

Suvendu Adhikari TMC Jhargram
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy