খড়্গপুরে পুজো উদ্বোধনে শুভেন্দু। নিজস্ব চিত্র
পুজোর উদ্বোধনে জেলা সদর মেদিনীপুরে পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। জেলায় সার্বিক বিচারেও একই ছবি। তবে রেলশহরে কিন্তু দিলীপকে টেক্কা দিয়েছেন শুভেন্দু। এখানে প্রথম দফায় বড় পুজোগুলির উদ্বোধনই হয়েছে পরিবহণমন্ত্রীর হাত ধরে।
বৃহস্পতিবার পঞ্চমীর বিকেলে খড়্গপুরে বড় বাজেটের একাধিক পুজোর উদ্বোধন করেছেন শুভেন্দু। তিনি শহর ছাড়তে রাতে পৌঁছন দিলীপ। বিজেপির রাজ্য সভাপতি এ দিন দু’টি পুজোর (সাউথ ইন্দা সর্বজনীন ও ভবনীপুর আরজি গ্রুপ ক্লাব) উদ্বোধন করেছেন। তবে আজ, শুক্রবার কয়েকটি পুজোর উদ্বোধন করার কথা তাঁর। পুজোর উদ্বোধনে কি ছায়াযুদ্ধ শুরু হয়েছে? খড়্গপুরে শুভেন্দুকে এ বিষয়ে কিছু বলতে শোনা যায়নি। তিনি শুধু পুজোর কমিটিগুলির পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। তবে মেদিনীপুরে এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে দিলীপ বলেন, ‘‘পুজো ওরাই (তৃণমূল) কব্জায় করে নিয়েছিল। এখন মানুষ আমাদের ডাকছেন। আমরা মানুষের সঙ্গে আছি। মানুষের সঙ্গে থেকে পুজোয় অংশগ্রহণ করছি।’’ এর পর সুর চড়িয়ে দিলীপের মন্তব্য, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী তো এমন ভাব করেন যেন দুর্গাপুজো উনিই শুরু করেছিলেন!’’
এ দিন বিকেলে রেলশহরে পৌঁছন শুভেন্দু। তারপর বুলবুলচটি সর্বজনীন, পুরনো মালঞ্চ শক্তি সঙ্ঘ, আদি পুজো কমিটি, সুভাষপল্লি সেবাসমিতি ও তালবাগিচা নেতাজি ব্যায়ামাগারের মতো বড় বাজেটের পুজোর উদ্বোধন করেন। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি, আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি নির্মল ঘোষ ও শহরের পাঁচ নেতা।
দেবীপক্ষে থেমে নেই চাপানউতোর। বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি গৌতম ভট্টাচার্য বলেন, “খড়্গপুরে উপনির্বাচন আছে। তাই খড়্গপুরের পুজো কমিটিগুলিকে টাকা দিয়ে দখল করে শুভেন্দু অধিকারী উদ্বোধন করছেন। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “কাজের মানুষ শুভেন্দু অধিকারীকে খড়্গপুরের মানুষ চেনে বলেই আন্তরিকভাবে পুজোর উদ্বোধনে ডেকেছে। তবে উনিও সেই ডাকে সাড়া দিয়েছেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy