Advertisement
E-Paper

প্রচারে এসে মামুদকে তোপ শুভেন্দুর

সম্প্রতি তৃণমূল ছেড়ে ডিএসপিতে যোগ দিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ মামুদ হোসেন। এমনকী এগরা বিধানসভা কেন্দ্রে ডিএসপির হয়ে প্রার্থীও হয়েছেন তিনি। আর এই দল বদলকেই হাতিয়ার করে মামুদ হোসেনের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০১৬ ০০:৩৫
সভায় শুভেন্দু অধিকারী, শিশির অধিকারী ও সন্ধ্যা রায়। নিজস্ব চিত্র।

সভায় শুভেন্দু অধিকারী, শিশির অধিকারী ও সন্ধ্যা রায়। নিজস্ব চিত্র।

সম্প্রতি তৃণমূল ছেড়ে ডিএসপিতে যোগ দিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ মামুদ হোসেন। এমনকী এগরা বিধানসভা কেন্দ্রে ডিএসপির হয়ে প্রার্থীও হয়েছেন তিনি। আর এই দল বদলকেই হাতিয়ার করে মামুদ হোসেনের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী।

মঙ্গলবার একটি সভায় প্রার্থীর হয়ে প্রচারে গিয়ে মামুদ হোসেনের নাম না করে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘‘একজন ছদ্মবেশী বিশ্বাসঘাতক বামফ্রন্টের প্রার্থী হয়েছেন। যিনি তৃণমূলের খেয়ে বলিষ্ঠ হয়েছেন। হঠাৎ করে বামফ্রন্টে চলে গেলেন। গামছা পরে সিপিএমের জোনাল অফিসে রান্না করতেন। আমি তাঁকে মাসে মাসে হাজার হাজার টাকা বেতন দিয়েছি। তাঁর সংসার চলেছে। ওই বিশ্বাসঘাতককে এবার ভোটে বুঝিয়ে দেব।” সঙ্গে তাঁর আর্জি, ‘‘আনিসুরকে সংখ্যালঘু এলাকায় সময় দেওয়ার জন্য অনুরোধ করব।”

জেলা রাজনীতিতে বরাবরই মামুদ হোসেন জনপ্রিয়। ইতিমধ্যে সংখ্যালঘু প্রার্থী হওয়ার সুবাদে মামুদ হোসেন সংখ্যালঘু এলাকাগুলিতে প্রচারে গিয়ে সহানুভূতি কুড়োচ্ছেন। দাবি করছেন তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসানোর। বিষয়টি নিয়ে যে তৃণমূল উদ্বিগ্ন তা এ দিন শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের স্পষ্ট। এমনকী দলের গোষ্ঠী কোন্দলকে একপ্রকার মান্যতা দিয়েই শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘‘অনেক দাবি থাকতে পারে, মান অভিমান থাকতে পারে। কিন্তু তাঁরা দলের বাইরে যাননি। তাঁরা আমাকে কথা দিয়েছেন প্রার্থীকে জেতানোর দায়িত্ব তাঁরা নেবেন।” এ দিনের সভায় হাজির ছিলেন শিশির অধিকারী, সন্ধ্যা রায়ও।

শুভেন্দুবাবুর এমন তোপ প্রসঙ্গে মামুদ হোসেন অবশ্য বলেন, ‘‘নারদ স্টিং অপারেশনে ঘুষ কাণ্ডে যাঁর নাম জড়িয়ে তাঁর মুখে নীতি কথা মানায় না। ওঁদের দ্বিচারিতা ধরা পড়ে গিয়েছে। জেলা জুড়ে পরিবাররাজ কায়েম করেছেন। পদ আঁকড়ে থাকেন তাঁরা। আসলে ওঁদের পায়ের তলার মাটি নড়ে গিয়েছে। তাই হারার ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে এ সব বলছেন।’’

tmc election
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy