হাইস্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক হলেন প্রথম পোলিং অফিসার। আর মাত্র দু’বছর চাকরি হওয়া সহকারী শিক্ষক হলেন প্রিসাইডিং অফিসার!
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মীদের এমন নামের তালিকা আসায় হতবাক কাঁথি টাউন রাখালচন্দ্র বিদ্যাপীঠ-সহ কাঁথির বিভিন্ন হাইস্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা, এমনকী শিক্ষক সংগঠনগুলিও। এমনকী এই নিয়ে অভিযোগও জানানো হয়েছে প্রশাসনিক মহলে। কাঁথি টাউন রাখালচন্দ্র বিদ্যাপীঠের প্রধানশিক্ষক নির্মল আদক জানান, গত বুধবার স্কুলের ১৯জন শিক্ষকের ভোটগ্রহনকর্মী হিসেবে প্রশাসন থেকে নামের তালিকা এসেছে। তালিকায় ১৯জন শিক্ষকের মধ্যে ১১জন শিক্ষককে প্রিসাইডিং অফিসার ও ৮ জনকে পোলিং অফিসার হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক জয়দেব ধাড়াকে করা হয়েছে প্রথম পোলিং অফিসার আর দু’বছর আগে চাকরিতে যোগ দেওয়া এক শিক্ষককে করা হয়েছে প্রিসাইডিং অফিসার।
একই অবস্থা কাঁথি-১ ব্লকের নয়াপুট সুধীরকুমার হাইস্কুলেও। সেখানেও স্কুলের সহকারী প্রধানশিক্ষক সন্দীপ জানাকে প্রথম পোলিং অফিসার করা হয়েছে। আর স্কুলের বেশ কিছু সহকারী শিক্ষককে প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এমনকী খেজুরি কলেজের অধ্যক্ষ অসীম কুমার মান্নাকেও নিবার্চন দফতর থেকে ভোটের প্রিসাইডিং অফিসার করার চিঠি ধরানো হয়েছে। কলেজের অধ্যক্ষকে ভোটগ্রহণ কর্মী হিসেবে প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব দেওয়ায় শিক্ষক মহল হতভম্ব। হতভম্ব খোদ অধ্যক্ষ অসীমকুমার মান্না নিজেও। বললেন, “কলেজের অধ্যক্ষকে ভোটের দিন প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করতে হবে এমন তাজ্জব ঘটনা আগে শুনিনি বা দেখিনি।”
সুধীরকুমার হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক বসন্তকুমার গোড়াই ও রাখাল বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক নির্মল আদকের অভিযোগ, “ভোটগ্রহণ কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের অভিজ্ঞতা, যোগ্যতা ও বেতনক্রম খেয়াল রেখেই তাঁদের প্রিসাইডিং অফিসার বা পোলিং অফিসার করা হয়। এ বার ভোটে শিক্ষকদের ভোট কর্মী হিসেবে নিয়োগ করার ক্ষেত্রে তা মানা হয়নি। এ বিষয়ে শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে অভিযোগও জানানো হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy