নদীর পার ভাঙনের জেরে ভেঙে গিয়েছিল রাস্তার নীচের অংশ। গোপীবল্লভপুর-২ ব্লকের মালিঞ্চার ওই ঘটনায় সুবর্ণরেখার জল গ্রামে ঢুকে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়ছিল। সেই রাস্তা বাঁচাতে অস্থায়ী ভাবে বালির বস্তা ও বল্লা দিয়ে নদী বাঁধানোর কাজ শুরু হল রবিবার থেকে। উদ্যোগ সেচ দফতরের।
সূত্রের খবর, বর্ষা কমলে ওই গ্রামে নদীর পার ভাঙন রোধে স্থায়ী কাজ শুরু হবে। সে ক্ষেত্রে ১২০০ মিটার নদী পার ভাঙনের জন্য খরচ হবে আনুমানিক সাড়ে ছ’কোটি টাকা। সম্প্রতি, টানা বৃষ্টি ও গালুডি থেকে জল ছাড়ার ফলে ফুঁসছিল সুবর্ণরেখা নদী। তাতে নদী ভাঙন বাড়ে। মালিঞ্চা থেকে খড়িপড়িয়া যাওয়ার ওই ঢালাই রাস্তাও নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে বসেছিল। সূত্রের খবর, রাস্তাটি বাঁচাতে পদক্ষেপ করেন ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক সুনীল আগরওয়াল। চলতি বর্ষার মধ্যে যাতে নদী ওই রাস্তাকে গ্রাস করতে না পারে সেই জন্য অস্থায়ী ভাবে কাজ শুরু করার জন্য সেচ দফতরে আবেদন করেন তিনি। তারপরেই কাজ শুরু হয়েছে।
ওই রাস্তা যাতে ভেঙে না যায় তার জন্য বল্লা, বালির বস্তা দিয়ে নদী বাঁধানোর কাজ শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, ওই রাস্তা বাঁচাতে খরচ হবে ৯১ লক্ষ টাকা। ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক সুনীল আগরওয়াল বলেন, ‘‘পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে সেচ দফতরের কাছে আবেদন করেছিলাম যাতে রাস্তাটি বাঁচানো যায়। রাস্তাটি বাঁচাতে ৯১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এখন অস্থায়ী ভাবে কাজ শুরু হয়েছে।’’
দেড় মাস আগে ওই গ্রামে সুবর্ণরেখা নদী পারের ভাঙন দেখতে গিয়েছিলেন সেচ মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। মানসের সামনেই দু’বার ভেঙে পড়েছিল নদীর পার। তা দেখে দফতরের আধিকারিকদের কড়া ধমক দিয়েছিলেন তিনি। ঘটনাস্থল থেকেই দফতরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব মনীশ জৈনকে ফোন করে ব্যবস্থা নিতে বলেছিলেন। যদিও তারপরেও কাজ তেমন কিছুই হয়নি বললেই চলে। এর ফলে বাড়ছিল ক্ষোভ। ওই গ্রামের একটি ক্লাব, পার্ক, আম বাগান, খেলার মাঠ ইতিমধ্যেই নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। সপ্তাহ খানেক আগে ভাঙনের জেরে জলের তলায় চলে গিয়েছে দু’টি বাড়ি।
শনিবার ওই গ্রামে গিয়ে পরিদর্শন করেন সেচ দফতরের সাউথ-ওয়েস্ট জ়োনের সুপারিটেন্ডড ইঞ্জিনিয়ার আশিস দত্ত, ঝাড়গ্রামের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার নমিত সরকার, গোপীবল্লভপুর-২ ব্লকের বিডিও নীলোৎপল চক্রবর্তী। তারপর রবিবার থেকে কাজ শুরু হল। নমিত বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষ চিন্তিত। রাস্তা বাঁচানো মূল উদ্দেশ্য। না হলে গ্রামে জল ঢুকে যাবে। সেই মতো কাজ শুরু হয়েছে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)