Advertisement
E-Paper

সংক্রমিত ছিলেন মৃত পোস্টমাস্টার, বিডিও-সহ আক্রান্ত ১৪

রবিবার রাতে আসা রিপোর্ট অনুযায়ী, ঘাটাল মহকুমায় ন’জনের এবং খড়্গপুর মহকুমায় পাঁচ জনের রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০২০ ০৫:৩০
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

১৪ ঘণ্টা বাড়িতেই পড়েছিল পোস্টমাস্টারের মৃতদেহ। টালবাহানার পরে দেহ নিয়ে যায় স্বাস্থ্য দফতর। করোনার রিপোর্টে জানা গেল ডেবরার বাসিন্দা ওই পোস্টমাস্টার ছিলেন করোনা পজ়িটিভ!

রবিবার রাতে আসা রিপোর্ট অনুযায়ী, ঘাটাল মহকুমায় ন’জনের এবং খড়্গপুর মহকুমায় পাঁচ জনের রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে। এর মধ্যে ডেবরার বাকলসার বাসিন্দা মৃত ওই পোস্টমাস্টারও রয়েছেন। কেশিয়াড়ির বিডিও সৌগত রায়ের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ আসায় শোরগোল ছড়িয়েছে। খড়্গপুর শহরেও নতুন করে দুই আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। বেলদাতেও আক্রান্ত হয়েছেন এক শিক্ষক। ঘাটাল মহকুমায় আক্রান্তদের মধ্যে দু’জন ঘাটাল ব্লকের খড়ার পুর এলাকার। বাকি সাতজন দাসপুর-১ ব্লকের বাসিন্দা। সোমবার রাতে জেলা বিজেপির এক সহ- সভাপতি করোনা রিপোর্টও পজ়িটিভ এসেছে। দিনকয়েক আগে মেদিনীপুরে বিজেপির এক নেতার জন্মদিনে ছিলেন ওই নেতা।

প্রশাসন সূত্রের খবর, স্ত্রী অসুস্থ থাকায় কলকাতায় গিয়েছিলেন কেশিয়াড়ির বিডিও। দিন তিনেক আগে কেশিয়াড়িতে ফিরে আসার পরে উপসর্গ দেখা যাওয়ায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল। দিন কয়েক আগেই আক্রান্ত হয়েছিলেন চন্দ্রকোনা ১ এর বিডিও অভিষেক মিশ্র। সেই সূত্রে তাঁর পরিবার, দুই যুগ্ম বিডিও সহ ১৬ জনের করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে ১৩ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তিনজনের রিপোর্ট অমীমাংসিত আসায় ফের লালারস নেওয়া হবে। পরীক্ষা হয়েছিল চন্দ্রকোনা ২ এর বিডিও শাশ্বতপ্রকাশ লাহিড়ী ও দুই যুগ্ম বিডিওরও। তাঁদের রিপোর্টও নেগেটিভ এসেছে।

মৃত পোস্টমাস্টার জ্বর সত্ত্বেও বাড়িতেই ছিলেন। পরে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গেলেও হাসপাতালে ভর্তি হননি। ডেবরা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক আরিফ হাসান বলেন, “স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক হাসপাতালে ভর্তি ও করোনা পরীক্ষার পরামর্শ দিলেও ওই পোস্টমাস্টারের পরিবার শোনেনি।” মৃতের দাদা পেশায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের দাবি, ‘‘ভাইকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার অ্যাম্বুল্যান্স পাইনি। মা ও মেজভাইও অসুস্থ। এখনও অ্যাম্বুল্যান্স পাচ্ছি না।” অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশিস পাল জানান, ডেবরার পোস্টমাস্টার করোনা পজ়িটিভ। তাই দেহ পরিবারের হাতে দেওয়া হবে না।

খড়্গপুরের শহরের নিমপুরা গুরুদ্বারার এক প্রৌঢ় ও খরিদা নয়াপাড়ার এক যুবতী আক্রান্ত হয়েছেন। একটি মেটালিক্স কারখানার কর্মী প্রৌঢ় ১৫ জুলাই কলকাতায় গিয়েছিলেন। ওই যুবতী দিল্লির বাসিন্দা। তিনি ১৭ জুলাই নয়াপাড়ায় বাপের বাড়িতে এসেছিলেন। ঘাটালে দুই আক্রান্তের একজন কলকাতায় গিয়েছিলেন। আরেকজন তরুণী। তিনি ১৬ জুলাই নাগপুর থেকে ফেরেন। দাসপুরে আক্রান্তদের পাঁচ জন দুই পরিবারের। বাকি দু’জন কর্মসূত্রে ঘোরাঘুরির কারণে আক্রান্ত হয়েছেন।

Coronavirus in Midnapore Death Postmaster BDO
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy