Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
cow

Cow: চাকরি উঠল মাথায়, জাবনা দিতে দিতেই জেরবার, গরু সামলাতে ল্যাজেগোবরে পুলিশ

মাথায় উঠেছে নিজেদের চাকরি। প্রধান কাজ এখন দু’বেলা গরুর মুখে খড়ের আঁটি তুলে দেওয়া। রাত জেগেও দিতে হচ্ছে পাহারাও।

—নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২১ ২৩:১০
Share: Save:

মাথায় উঠেছে নিজেদের চাকরি। প্রধান কাজ এখন দু’বেলা গরুর মুখে খড়ের আঁটি তুলে দেওয়া। রাত জেগেও দিতে হচ্ছে পাহারা। আর সব করতে গিয়ে নিজের গ্যাঁটের থেকেই খসছে দিনে ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা। গরু-মহিষ বোঝাই একটি গাড়ি আটক করে চরম বিপাকে পড়তে হল গুড়গুড়িপাল থানার পুলিশকে। এখানেই শেষ নয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে তিনটি গরু ও একটি মহিষ অসুস্থ হয়ে পড়ায় এখন নিয়মিত ওষুধ আর ইঞ্জেকশনও দিতে হচ্ছে তাঁদের।

গত ২৯ নভেম্বর সন্ধ্যা পৌনে ৬টা নাগাদ মেদিনীপুর সদর ব্লকের এনায়েতপুর মোড়ের কাছে নাকা তল্লাশির সময় গবাদি পশু বোঝাই একটি পিকআপ ভ্যান আটক করেছিল পুলিশ। ঝাড়গ্রামের লালগড় থেকে মেদিনীপুর শহরের দিকে যাচ্ছিল ওই ভ্যানটি। কিন্তু গাড়িতে কোনও কাগজপত্র না থাকায় চালককে গ্রেফতার করে পুলিশ।

উদ্ধার হওয়া ১৪টি গরু ও মহিষগুলিকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সরকারি খোঁয়াড়ে। সেখানে কোনও ছাদ ছিল না। ত্রিপল টাঙিয়ে কোনও রকম সামাল দেন পুলিশকর্মীরা। কিন্তু প্রবল ঝড়-বৃষ্টিতেই সব পরিকল্পনা মাটি হয়ে যায়। অসুস্থ হয়ে পড়ে চারটি পশু। এর পর তাদের নিয়ে যাওয়া হয় চাঁদড়া স্ট্রাকো বাহিনীর ক্যাম্পে।

সেখানে গরু ও মহিষগুলির নিয়মিত দেখভাল করছেন চার জন সিভিক পুলিশ। অসুস্থ পশুদের শুশ্রূষার জন্য সরকারি পশু চিকিৎসক জিতেন মণ্ডলের সঙ্গে যোগাযোগও করা হয়েছে। তিনিও মাঝেমাঝে এসে অসুস্থ পশুদের দেখে যাচ্ছেন। জিতেন বলছেন, ‘‘নিজেদের ব্যস্ততার মধ্যেও পুলিশ যে ভাবে পশুদের দেখাশোনা করছে, তার জন্য সত্যিই ওঁদের সাধুবাদ দেওয়া প্রয়োজন।’’ অসুস্থ গরুদের অবস্থা সম্পর্কে রোজ খোঁজ নিচ্ছেন থানার ওসি শঙ্খ চট্টোপাধ্যায় ও সেকেন্ড অফিসার মধুসূদন দাসও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

cow police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE