Advertisement
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

চুরি গিয়েছে সব, বেঁচে ফিরেও সঙ্কটে নাবিকেরা

বুধবার সকালে বাদুড়িয়ায় গিয়ে দেখা গেল, একটি ক্লাব বাড়িতে রয়েছেন বাংলাদেশের ওই ১০ জন বাসিন্দা। মহম্মদ জামাল মোল্লা নামে এক নাবিক বলেন, ‘‘মঙ্গলবার সারা রাত মুড়ি খেয়ে কাটিয়েছি। এক বস্ত্রে কাল থেকে রয়েছি। কেউ সাহায্য করেনি।’’ একই বক্তব্য অন্যদেরও।

ডুবে যাওয়া সেই বার্জ। —ফাইল চিত্র

ডুবে যাওয়া সেই বার্জ। —ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:১৭
Share: Save:

এক দিন আগেই ফিরছেন সাক্ষাৎ যমের দুয়ার থেকে। ডুবন্ত বার্জ থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল তাঁদের। কিন্তু এখন সেই নাবিকেরা পড়েছেন অন্য ফ্যাসাদে!

মঙ্গলবার ভোরে সুতাহাটা ব্লকের হরিবল্লভপুরের কাছে ডুবন্ত বার্জ থেকে বাংলাদেশের ওই ১০ জন নাবিককে উদ্ধার করা হয়েছে। তারপর থেকে তাঁদের ঠাঁই হয়েছে মহিষাদলের বাদুড়িয়ার একটি ক্লাবে। কিন্তু অভিযোগ, ওই নাবিকদের না জুটেছে পর্যাপ্ত খাবার, না রয়েছে ‘নিরাপদ’ আশ্রয়। কারণ, ইতিমধ্যেই ওই ক্লাব ঘর থেকে নাবিকদের বেশ কিছু জিনিস চুরি গিয়েছে বলে অভিযোগ।

বুধবার সকালে বাদুড়িয়ায় গিয়ে দেখা গেল, একটি ক্লাব বাড়িতে রয়েছেন বাংলাদেশের ওই ১০ জন বাসিন্দা। মহম্মদ জামাল মোল্লা নামে এক নাবিক বলেন, ‘‘মঙ্গলবার সারা রাত মুড়ি খেয়ে কাটিয়েছি। এক বস্ত্রে কাল থেকে রয়েছি। কেউ সাহায্য করেনি।’’ একই বক্তব্য অন্যদেরও।

আবার উদ্ধার হওয়া নাবিকদের একাংশ অভিযোগ করছেন, যে জায়গায় তাঁরা রয়েছেন, সেখান থেকে তাঁদের মোবাইল ফোনের সিম-সহ নানা জিনিস উধাও হয়ে গিয়েছে। এক নাবিকের কথায়, ‘‘আমরা যে বিপদে রয়েছি, সেই খবরটুকুও বাড়ির লোকেদের জানাতে পারছি না।’’ এছাড়া, তাঁদের অভিযোগ, ওই ক্লাব ঘরটি অপেক্ষাকৃত ছোট। ফলে একসঙ্গে এত জন থাকতে অসুবিধেও হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া ওই ১০ জন নাবিকেরা যেখানে রয়েছেন, তাঁর আশেপাশে কোনও পুলিশ ছিল না। বরং কয়েকজন সিভিক ভলান্টিয়ারকে এ দিন এলাকায় ঘুরতে দেখা গিয়েছে। এতে ভিন্‌ দেশ থেকে আসা মানুষগুলির নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

শুধু তাই নয়, মঙ্গলবার সকালে দুর্ঘটনার পর থেকে স্থানীয় পুলিশ বা প্রশাসনের কেউ উদ্ধার হওয়া ওই নাবিকদের সঙ্গে দেখা করেননি। কোনও খোঁজও নেননি বলে অভিযোগ। বুধবার স্থানীয় লোকজন তাঁদের কিছু আর্থিক সাহায্য করেছেন বলে জানা গিয়েছে। প্রশাসনিক উদ্যোগে কেন ওই ভিন্দেশিদের কোনও সরকারি আবাসনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না, সে প্রশ্নও তুলেছেন বাসিন্দাদের একাংশ।

এ সব অভিযোগ অবশ্য মানতে রাজি নয় স্থানীয় প্রশাসন। মহিষাদলের বিডিও জয়ন্তকুমার দে বলেন, ‘‘উদ্ধার হওয়া নাবিকেরা এমন কষ্টে রয়েছেন, তা জানা ছিল না। খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Cargo Ship Sink Sailor Distress
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy