চুরি হয়ে গেল খড়্গপুর আইআইটি-র দু’জন অধ্যাপকের কোয়ার্টারে । শুক্রবার সকালে ‘বি’ টাইপ এবং ‘সি’ টাইপ ওই দুই কোয়ার্টারে চুরির কথা জানাজানি হতেই আলোড়ন পড়ে। আইআইটি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি পুলিশে জানান। ঘটনাস্থলে আসেন খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিষেক গুপ্ত, এসডিপিও সন্তোষ মণ্ডল-সহ পুলিশ আধিকারিকেরা। লন্ডভন্ড দুই কোয়ার্টার থেকে ঠিক কী খোওয়া গিয়েছে তা অবশ্য জানাতে পারেনি পুলিশ। আইআইটির নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষী থাকা সত্ত্বেও কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, সেই প্রশ্নও উঠেছে।
‘সি’ টাইপ কোয়ার্টারের বাসিন্দা কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এনডি প্রদীপ সিংহ বাইরে রয়েছেন। তার পিছনের কোয়ার্টারের বাসিন্দা বায়োটেকনোলজির অধ্যাপক পিনাকী শরও এ দিন বাড়িতে ছিলেন না। সেই সুযোগেই দুষ্কৃতীরা হানা দেয় বলে মনে করা হচ্ছে। এ দিন সকালে আইআইটির দুই ছাত্র অধ্যাপক এনডি প্রদীপ সিংহের বাড়িতে এলে চুরির কথা জানা যায়। কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র ভেঙ্কটেশ্বর বলেন, ‘‘স্যার বাড়িতে ছিলেন না। আমরা এসে দেখছি চুরি হয়েছে। কী চুরি হয়েছে বুঝতে পারছি না। স্যারকে খবর দিয়েছি।”
পিনাকীবাবুও কোয়ার্টারে ফিরে দেখেন সব লন্ডভন্ড। তবে তিনি এ নিয়ে কিছু বলতে চাননি। আগেও বহুবার চুরির ঘটনা ঘটেছে আইআইটি চত্বরে। গত বছর জুনে মহিলা হস্টেলে ঢুকে গবেষক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগও উঠেছিল এক সাফাইকর্মীর বিরুদ্ধে। স্বভাবতই নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এ দিন ঘটনার পরে অবশ্য আইআইটি চত্বরে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের ঢুকতেও কড়াকড়ির মধ্যে পড়তে হয়।
আইআইটির কর্মী কোয়ার্টারের বাসিন্দা গৌতম রায় বলেন, “আমাদের কোয়ার্টার এলাকায় প্রতিবছর পুজোর সময় চুরি বাড়ে। আমরা তো পুজোর ছুটিতে বাইরে যেতে ভয় পাই। টহলদারি প্রয়োজন।” আইআইটির রেজিষ্ট্রার প্রদীপ পাইনের বক্তব্য, “আইআইটি চত্বরে এই ঘটনা বাঞ্ছনীয় নয়। আমরা বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy