এখনও শহরের সব বাড়িতে নেই শৌচালয়। প্রতীকী ছবি।
সমীক্ষা হয়েছে বছর দু’য়েক আগে। সমীক্ষায় দেখা যায়, মেদিনীপুর শহরে এখনও সব বাড়িতে শৌচালয় নেই। এই রিপোর্ট জমাও পড়েছে পুরসভায়। তারপরেও এখনও শহরের সব বাড়িতে শৌচালয় গড়ে ওঠেনি। ঝোপের আড়ালে বা মাঠের ধারেই শৌচকর্ম সারেন শহরের অনেকে।
কেন এখনও শহরের সব বাড়িতে শৌচালয় গড়ে উঠল না? এ ক্ষেত্রে তো কেন্দ্রীয় প্রকল্প রয়েছে? মেদিনীপুরের পুরপ্রধান প্রণব বসুর জবাব, “এ বার মেদিনীপুরে এই কাজ শুরু হবে।” প্রণববাবু মানছেন, “শহরের সব বাড়িতে শৌচালয় নেই এটা ঠিক। যে সব বাড়িতে শৌচালয় নেই, সেখানে শৌচালয় গড়া হবে। প্রকল্প রূপায়ণ নিয়ে পুরসভায় বৈঠকও হয়েছে।”
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সদর শহর মেদিনীপুর। আগের থেকে শহরের পরিধি বেড়েছে। এক সময়ে শহরে ২৪টি ওয়ার্ড ছিল। ২০১৩ সালে ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাস হয়। পঞ্চায়েত ঘেঁষা দু’টি ওয়ার্ড ভেঙে নতুন ওয়ার্ড তৈরি হয়। এখন শহরের ওয়ার্ড সংখ্যা ২৫। ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাসের ফলে পঞ্চায়েত থেকে পুর-এলাকায় ঢুকে পড়ে গোপগড়। এ ছাড়াও নানা কাজে রোজ শহরে বহু মানুষ আসেন। শহরের ক’টি বাড়িতে শৌচালয় রয়েছে তা জানতে ২০১৫ সালে সমীক্ষা হয়। সেই সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, শহরের ৫,৪৬৩টি বাড়িতে শৌচালয় গড়ে তুলতে হবে।
বছর তিনেক আগেই গ্রামাঞ্চলে বাড়ি বাড়ি শৌচালয় তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্যমাত্রা হল, বাড়ি বাড়ি শৌচালয় গড়ে তোলা। এ জন্য স্বচ্ছ ভারত অভিযান চলছে। রাজ্যও মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্প রূপায়ণ করছে। অথচ, খোদ মেদিনীপুর শহরেই সব বাড়িতে এখনও শৌচালয় নেই। এক পুরকর্তার স্বীকারোক্তি, “কাজটা আরও আগে শুরু করা উচিত ছিল।” একইসঙ্গে তাঁর সংযোজন, “প্রকল্প রূপায়ণের আগে কয়েকটি প্রক্রিয়া থাকে। এই সময়ের মধ্যে সেই প্রক্রিয়া এগিয়েছে।”
শৌচাগার তৈরির প্রকল্পের জন্য কেন্দ্র সরকার ইতিমধ্যে অর্থ বরাদ্দ করেছে। মেদিনীপুরে প্রায় ৪ কোটি ৩৫ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা এসেছে। শৌচালয় নির্মাণের জন্য উপভোক্তাদেরও এক হাজার টাকা করে দিতে হবে। দিন কয়েক আগে পুরকর্তাদের নিয়ে এক বৈঠক হয়। কালেক্টরেটের ওই বৈঠকে এই প্রকল্প রূপায়ণ নিয়ে পুরসভাকে উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসনের কর্তারাই পরামর্শ দেন। এক পুরকর্তার আশ্বাস, “দ্রুত প্রকল্পের কাজ শুরুর চেষ্টা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy