Advertisement
E-Paper

বিধায়ককে ঘুসি মারায় গ্রেফতার ৩

ওই মহিলা ও একজনের বাড়ি কলকাতার গার্ডেনরিচে। আর একজন এগরার বাসিন্দা। ধৃতদের বিরুদ্ধে বিধায়ককে খুনের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০১৮ ১২:০৫
অখিল গিরি।

অখিল গিরি।

পুজোর উদ্বোধনে যাওয়ার পথে সোমবার রাতে রামনগরের তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরির আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে একজন মহিলা। ওই মহিলা ও একজনের বাড়ি কলকাতার গার্ডেনরিচে। আর একজন এগরার বাসিন্দা। ধৃতদের বিরুদ্ধে বিধায়ককে খুনের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। মঙ্গলবার তাদের কাঁথি আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাত ১০টা নাগাদ দিঘা বাইপাসের রেলক্রসিংয়ের কাছে বিলামুড়িয়া গ্রামের কাছে ওই ঘটনা ঘটে। দিঘায় একটি কালীপুজোর উদ্বোধনে যাচ্ছিলেন রামনগরের তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরি। ওই সময় দিঘা বাইপাসের দিকে যাচ্ছিল ওই তিন বাইক আরোহী। অখিলবাবুর দাবি, বাইক আরোহীরা তাঁর গাড়ির সামনে হঠাৎ চলে আসে। এমনকী গাড়িতে ধাক্কাও মারে। সেই সঙ্গে ঘটনার জন্য তাঁর গাড়ির চালককে দায়ী করে গালিগালাজ করতে থাকে। তিনি গাড়ির কাচ নামিয়ে ওই বাইক আরোহীদের সাবধানে গাড়ি গাড়ি চালাতে বলেন। অভিযোগ, এরপরই ক্ষিপ্ত হয়ে বাইক আরোহী দুই যুবক বিধায়কের উপরে চড়াও হয়। তাঁর মুখে ঘুসি মারে। বিধায়ক গাড়ি থেকে নামার চেষ্টা করলে তাঁকে ধাক্কা দেওয়া হয়। ধাক্কাধাক্কিকে তাঁর পাঞ্জাবি ছিঁড়ে যায়। আশপাশের লোকজন দেখতে পেয়ে ছুটে আসেন। বাইক আরোহীদের আটকে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। দিঘা মোহনা থানার ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুখেনজিৎ দাস, নবকুমার দাস ও সলি খাতুন নামে তিনজনকে আটক করে। পুলিশ জানিয়েছে, সুখেনজিৎ ও সলি কলকাতার গার্ডেনরিচ এলাকার বাসিন্দা। নবকুমারের বাড়ি এগরা থানার রাসন গ্রামে।
বিধায়কের উপর এমন হামলার ঘটনায় দিঘা-সহ আশপাশের এলাকায় বেপরোয়া বাইকের দৌরাত্ম্য নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় মানুষ। তাঁদের বক্তব্য, বেপরোয়া বাইকে দাপটে দুর্ঘটনা ঘটার পাশাপাশি যান চলাচলের ক্ষেত্রেও সমস্যা হচ্ছে। পুলিশ এদের বিরুদ্ধে তেমন ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা।
অখিলবাবু বলেন, “দেখে মনে হয়েছে ওই বাইক আরোহীরা মদ্যপ অবস্থায় ছিল। তা ছাড়া চালকের মাথায় হেলমেট ছিল না। বাইপাসের ওই আলোও কম ছিল। পুজোর দিন হওয়ায় পুলিশের টহলদারি গাড়ির ব্যবস্থা রাখা উচিত ছিল।’’
ঘটনার পর অখিলবাবুকে দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে দিঘা মোহনা থানায় তিনি ওই বাইক আরোহীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, ‘‘পুলিশের নজরদারি নিয়ে কোনও সংশয় নেই। দিঘায় পুলিশ যথেষ্ট তৎপর। ঘটনার পর দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। যথাযথ ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।’’

Crime Violence Police MLA TMC Politics
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy