Advertisement
E-Paper

কেউ ডুবে গানে, কেউ বা সংসারে

এ তো যেন পরীক্ষার মতো অবস্থা। সেই ছোটবেলায় পরীক্ষা দেওয়ার পর মাঝের একটা মাস কোথা দিয়ে মজা করতে করতে কেটে যেত। কিন্তু এ তো আর স্কুলের পরীক্ষা নয়। মানুষের আদালতে পরীক্ষা। তাই টেনশন তো রয়েছেই।

অভিজিৎ চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০১৬ ০২:২২
ছেলে-মেয়ের সঙ্গে গানের চর্চায় কমল দোলই (বাঁ দিকে) নাতনিকে আদরে ব্যস্ত শঙ্কর দোলই (ডান দিকে)। ছবি: কৌশিক সাঁতরা।

ছেলে-মেয়ের সঙ্গে গানের চর্চায় কমল দোলই (বাঁ দিকে) নাতনিকে আদরে ব্যস্ত শঙ্কর দোলই (ডান দিকে)। ছবি: কৌশিক সাঁতরা।

এ তো যেন পরীক্ষার মতো অবস্থা। সেই ছোটবেলায় পরীক্ষা দেওয়ার পর মাঝের একটা মাস কোথা দিয়ে মজা করতে করতে কেটে যেত। কিন্তু এ তো আর স্কুলের পরীক্ষা নয়। মানুষের আদালতে পরীক্ষা। তাই টেনশন তো রয়েছেই।

ঘাটাল বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শঙ্কর দোলই তো চাপ কাটাতে নাতনিকে আদর করেই সময় কাটাচ্ছেন। সকালে এখন ঘুম থেকেই উঠেই তাঁর একটাই কাজ নাতনিকে সামলানো। ছোট মেয়ের একমাত্র সন্তান মণীষা মাইতিকে নিয়েই সময় কাটাচ্ছেন তিনি। মাত্র দু’মাসের এই নাতনির জন্মের পরই কলকাতা থেকে ফোন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জেনেছিলেন দলের প্রার্থী হিসাবে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

শঙ্করবাবুর কথায়, ‘‘আমি সেদিন মেদিনীপুরে ছিলাম। মেয়ে তখন ওটিতে। নার্স এসে বলল, ‘আপনার নাতনি হয়েছে।’ আর তার পরই রাজ্য অফিস থেকে ফোন। খবর পেলাম-টিভিতে আমার নাম ঘোষণা হচ্ছে।”

নাতনিকে কোলে নিয়েই ছেলে অংশুমান, স্ত্রী তরুলতা-সহ দুই মেয়ের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া, গল্প‌ও করছেন। মাঝে মধ্যে রাজ্যের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে টিভিতে খবরও দেখছেন। এই ভাবেই সময় কাটচ্ছেন বিদায়ী বিধায়ক।

ভোটের চিন্তা কি একদম নেই? শঙ্করবাবুর কথায়, ‘‘আমি জিতবই।আগেও বলেছি, এখনও বলছি। সময় তো হয়েই এল। বিধায়ক হিসাবে যে আমি সফল-তা ১৯ তারিকেই পরিষ্কার হয়ে যাবে।

সিপিএমের জোট প্রার্থী কমল দোলই ভোট মেটার পর স্থানীয় মনোহর হাইস্কুলের করনিক কমল দোলই স্কুলে যোগ দিয়েছেন। স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পর ছেলে-মেয়েকে নিয়ে গান করেই সময় কাটাচ্ছেন এই জোট প্রার্থী। তবে প্রতিদিনই নিয়ম করে ঘাটালেও আসছেন। দলীয় অফিসে এসে দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে গল্প করছেন। বাইকে করে এদিকে-ওদিক ঘুরেও বেড়াচ্ছেন। ভোটের এত চুলচেরা হিসাব কমলবাবু করছেন না বটে, তবো চিন্তা তো কিছুটা হয়ই। এখন দুই ছেলে-মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে গান করার সময় স্ত্রী তনুশ্রী পাশেই থাকছেন। কিন্তু অল্প ক’দিনই স্বামীর গলার স্বরের অবস্থা দেখে থ তনুশ্রী দেবীও। বললেন, “কি সুন্দর গান গাইত ও। এখন ওর গলায় সেই তেজ উধাও।রাতে না ঘুমিয়ে শুধুই ছটপট করে। আমি সবই বুঝতে পারছি। কবে যে ফলটা জানা যাবে!”

assembly election 2016 candidates vote
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy