Advertisement
E-Paper

বার্তার পরেও প্রকাশ্যে ফাটল

যে ব্লক সহ-সভাপতিকে নিয়ে এত প্রশ্ন তিনি অবশ্য বলছেন অন্য কথা। তৃণমূলের ব্লক সহ-সভাপতি অনুপম দাস বলেন, “আমাদের মধ্যে কোনও বিভাজন নেই। পিকের টিম রাধাদাকে নির্দেশ দেওয়ায় রাধাদা আমাকে কর্মসূচির আয়োজন করতে বলেছিলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২০ ০০:১০
প্রতীকী চিত্র

প্রতীকী চিত্র

বিধানসভা নির্বাচনের দলে মতবিরোধ কাটাতে মরিয়া তৃণমূল নেতৃত্ব। দিন দু’য়েক আগেই জেলা সভাপতি গিয়ে ব্লক নেতৃত্বকে একসঙ্গে কাজের বার্তা দিয়েছিলেন। অবশ্য সেই বার্তায় জল ঢাললেন তৃণমূলের ব্লক নেতারা। বুধবার ডেবরায় দলের সহ-সভাপতি অনুপম দাসের ডাকা কর্মী সম্মেলনে ব্লক নেতৃত্বের একাংশ গরহাজির থাকায় বিভাজন রয়েই গেল তৃণমূল!

এ দিন ব্লকের ৬নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে একটি বেসরকারি বিএড কলেজের প্রাঙ্গনে ওই সম্মেলনের আয়োজন হয়েছিল। অবশ্য দলের এই কর্মী সম্মেলনে খোদ তৃণমূলের ব্লক সভাপতি রাধাকান্ত মাইতিকে দেখা যায়নি। এমনকি, আসেননি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মৌসুমী মূড়া, ব্লকের কোর কমিটির সদস্য তথা পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ অলোক আচার্য, সাংসদ প্রতিনিধি সীতেশ ধারার মতো ব্লকের তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে ওই কর্মসূচিতে ছিলেন বিধায়ক সেলিমা খাতুন, প্রাক্তন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা জেলা নেত্রী মুনমুন সেন, পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ রতন দে-র মতো নেতৃত্ব। গত ১১অক্টোবর ডেবরায় গিয়ে বৈঠক করে সকলকে একসঙ্গে সংগঠনের কাজ করার বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি। কিন্তু তার পরে এ দিনের এই কর্মী সম্মেলনে স্পষ্ট হয়েছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। যদিও বিষয়টি নিয়ে জেলা তৃনমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “আমি একটু ব্যস্ত রয়েছি। তবে এই বিষয়টি নিয়ে আমি খবর নেব। কোথায় ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে সেটা বসে ঠিক করব।”

এ দিনের কর্মী সম্মেলন মূলত টিম পিকের নির্দেশে ডাকা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু সেখানে তৃণমূলের ব্লক সভাপতির বদলে সহ-সভাপতি কেন কর্মী সম্মেলন ডাকলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ডেবরার বিধায়ক সেলিমা বলেন, “পিকের টিম এই কর্মী সম্মেলনের নির্দেশ দিয়েছিল। রাধাদা অসুস্থ তাই আসতে পারেননি। তবে রাধাদার অনুমতি নিয়েই সহ-সভাপতি অনুপম দাস কর্মী সম্মেলন ডেকেছেন।” পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মৌসুমী বলেন, “দলের এমন কর্মসূচির বিষয়ে আমার জানা নেই। দলের ব্লক সভাপতি ডাকলে হয়তো নিশ্চয় জানতে পারতাম, যেতাম।” একই সুরে জেলা নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ অলোক আচার্য বলেন, “আমার জানা নেই কোথায় কী কর্মসূচি হচ্ছে। আমাকে কেউ জানায়নি। সবচেয়ে বড় কথা দলের একজন ব্লক সহ-সভাপতি কী কর্মী সম্মেলন ডাকতে পারে?” গরহাজির থাকা সাংসদ প্রতিনিধি সীতেশ ধারা অবশ্য বলেছেন, “আমার জেলার একটি বৈঠকে যোগ দিতে যাওয়ার কথা তাই থাকতে পারব না।”

যে ব্লক সহ-সভাপতিকে নিয়ে এত প্রশ্ন তিনি অবশ্য বলছেন অন্য কথা। তৃণমূলের ব্লক সহ-সভাপতি অনুপম দাস বলেন, “আমাদের মধ্যে কোনও বিভাজন নেই। পিকের টিম রাধাদাকে নির্দেশ দেওয়ায় রাধাদা আমাকে কর্মসূচির আয়োজন করতে বলেছিলেন। সেই মতো রাধাদার পরামর্শ মেনেই সকলকে ডেকেছিলাম।” অবশ্য বিষয়টিকে যে তিনি ভাল চোখে নিচ্ছেন তা বুঝিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি রাধাকান্ত। তাঁর কথায়, “পিকের টিমের নির্দেশে দিয়েছিল। আমার শরীর খারাপ। সহ-সভাপতি সম্মেলন করতে চাইছিলেন। তাঁরা যা ভাল বুঝেছে তাঁরা তাই করেছে। কিন্তু যাঁরা সম্মেলন করলেন তাঁদের সকলকে নিয়ে কর্মসূচি পালনের মানসিকতা দেখলাম না।”

TmC Mamata Banerjee
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy