শাসক-বিরোধী সংঘাত নয়, ধর্মঘটের দিনেও মিছিল ঘিরে সেই শাসকদলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ। শুক্রবার নারায়ণগড়ের বেলদা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের পাতলিতে তৃণমূলের ওই গোষ্ঠী সংঘর্ষে জখম হয়েছেন চারজন। এক দিকে ধর্মঘট বিরোধী মিছিল আর অন্য দিকে সিঙ্গুর বিজয় উৎসব উপলক্ষে চলা মিছিল ঘিরে অশান্তির সূত্রপাত। তার জেরেই তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি নিতাই জানা ও অঞ্চলের নেতা দিলীপ দে-র অনুগামীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। জখম হন দিলীপ অনুগামী বাবলু সিংহ, হীরা দে-সহ তিনজন এবং বিপরীত শিবিরের নিতাই ঘনিষ্ঠ একজন। তাঁদের বেলদা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে বাবলুকে মেদিনীপুর মেডিক্যালে স্থানান্তরিত করা হয়।
অঞ্চল সভাপতি নিতাইবাবু বরাবর তৃণমূল ব্লক সভাপতি মিহির চন্দের ঘনিষ্ঠ। ব্লকে আবার মিহির চন্দের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে তৃণমূলের জেলা নেতা সূর্য অট্টের। এত দিন বেলদা-১ অঞ্চলে দিলীপ দে সূর্য অনুগামী হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। বিধানসভা ভোটের সময় মিহির গোষ্ঠীতে আসেন দিলীপ। তারপরই নতুন করে গোলমাল বেধেছে। এ দিনও দিলীপের নেতৃত্বে ধর্মঘট বিরোধী মিছিল ও সিঙ্গুর উৎসবের অঙ্গ হিসেবে কৃষ্ণপুর থেকে পাতলি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে মিছিল চলছিল। আর পাতলিতে দলের কার্যালয়ের সামনে নিতাই জানার নেতৃত্বে মিছিল শুরু তোড়জোড় করছিলেন একাংশ কর্মী। দিলীপদের মিছিলটি ওই কার্যালয়ের সামনে এলেই দু’পক্ষের শান্তি শুরু হয়। হাতিহাতি গড়ায় সংঘর্ষে। দিলীপ বলেন, “আমি বরাবর নিতাই জানার দুর্নীতির প্রতিবাদ করছি। ব্লক সভাপতির নির্দেশ মেনে আমরা মিছিল বের করেছিলাম। কিন্তু টাঙি, লাঠি নিয়ে আমাদের উপর চড়াও হয় নিতাই জানার লোকজন।”
নিতাইয়ের পাল্টা অভিযোগ, “দিলীপ দে স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠছেন। আমাদের না জানিয়ে নিজের মতো মিছিল করে এসে হামলা চালায় ওরা। ব্লক সব নেতৃত্বকে জানিয়েছি।” এ নিয়ে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মিহিরবাবুর বক্তব্য, “বন্ধ বিরোধী ও সিঙ্গুর উৎসবের মিছিল ঘিরে পাতলিতে নিজেদের মধ্যে একটা সংঘর্ষ হয়েছে। কয়েকজন জখম হয়েছেন। আমরা নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দূর করতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছি। তাও কেন এমনটা হল তা খতিয়ে দেখা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy