বিজেপি’র মহিলা প্রধানকে দফতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া, মারধর এবং তাঁর শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুরের ২২৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের দু’টি বাদে সব পঞ্চায়েতের দখল করেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। শুধু তমলুক ব্লকের শ্রীরামপুর-১ এবং রামনগরে তালগাছারি-২ পঞ্চায়েতে নির্দল-সহ বিরোধী সদস্যদের সঙ্গে জোট করে তৃণমূলকে হারিয়ে ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। কিন্তু ওই দুই পঞ্চায়েতের মধ্যে একটিতে এ দিন গন্ডগোলের অভিযোগ উঠেছে। বিজেপি’র অভিযোগ, তমলুকের শ্রীরামপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপ-প্রধানকে পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে শুক্রবার। মারধরও করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন সকালে ওই পঞ্চায়েতের অফিসে সাধারণ সভায় যোগ দিতে যান প্রধান মঞ্জু বেরা, উপ-প্রধান শঙ্কর বর্মণ। ওই দু’জন এবং আরও কয়েকজন বিজেপি’র পঞ্চায়েত সদস্যকে তৃণমূল কর্মীরা ব্যপক মারধর করে এবং দফতর থেকে তাড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় পঞ্চায়েত প্রধানের শ্লীলতাহানির অভিযোগও উঠেছে। এছাড়া দাবি, বিজেপি’র কয়েকজন সমর্থক আহতও হয়েছেন।
মঞ্জুদেবীর অভিযোগ, ‘‘শুক্রবার পঞ্চায়েতের সব সদস্যদের নিয়ে সাধারণ সভা ডাকা হয়েছিল। সকাল ১১টা নাগাদ আমি, শঙ্করবাবু, জয়ন্ত মণ্ডল, অপর্ণা দাস দফতরের দোতলায় উঠছিলাম। তখন ৫০- ৬০ জন তৃণমূল সমর্থক লাঠি, রড ও বাঁশ নিয়ে আক্রমণ চালায়। চুলের মুঠি ধরে সিঁড়ি থেকে আমাকে নীচে ফেলে দেয়। লাথি মারে আমাকে। শঙ্করবাবু এবং বাকিদেরও মারধর করে।’’
ঘটনার পরে বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা হামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের কাছে তমলুক-ময়নাগামী রাজ্য সড়ক অবরোধ করে। আধ ঘণ্টা পর পুলিশ গিয়ে অবরোধ তুলে দেয়। বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, অবরোধ তুলতে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। মারধরে আহত প্রধান-সহ বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য, কর্মীদের আট জনকে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
বিজেপি’র জেলা সম্পাদক নীলাঞ্জন অধিকারী বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতে বিজেপি ক্ষমতা দখল করায় স্থানীয় তৃণমূল নেতারা দুষ্কৃতীবাহিনী নিয়ে হামলা চালিয়েছে। ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে অবরোধ করা হলে সেখানেও পুলিশ লাঠিচার্জ করে।’’
বিজেপি পঞ্চায়েত প্রধানের উপর আক্রমণের অভিযোগ নিয়ে তমলুক ব্লকের তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের বিদায়ী পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সোমনাথ বেরা বলেন, ‘‘বিজেপির ডাকা বাংলা বন্ধের দিনে পঞ্চায়েত অফিস বন্ধ ছিল। এ নিয়ে এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে আজ প্রধান, উপ-প্রধানকে ঢুকতে বাধা দেয়। এতে আমাদের দলের লোকজন থাকতে পারেন। তবে দলীয়ভাবে কিছু হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy