Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Contai

ঋণখেলাপি তৃণমূল নেতা!

ব্যাঙ্ক সূত্রের খবর, বলাগেড়িয়া কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে চলতি মাসের গোড়ায় প্রদীপ এবং তাঁর স্ত্রী মৌমিতাকে নোটিস পাঠানো হয়েছে।

Sourced by the ABP

শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০২৩ ০৭:১০
Share: Save:

ঋণ খেলাপের নোটিস পাঠানো হল তৃণমূলের এক জেলা নেতা প্রদীপ গায়েনকে। কাঁথি-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রদীপের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি এবং তাঁর স্ত্রীয়ের কাছ থেকে বলাগেড়িয়া কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ৫২ লক্ষটাকা পান।

ব্যাঙ্ক সূত্রের খবর, বলাগেড়িয়া কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে চলতি মাসের গোড়ায় প্রদীপ এবং তাঁর স্ত্রী মৌমিতাকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। কয়েক বছর আগে তাঁরা ওই সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে মেয়াদি এবং সিসি ঋন নিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে ঋণের বকেয়া টাকা না মেটানোয় প্রদীপকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। দু’জনের কাছ থেকে ৫২ লক্ষ টাকা বাকি রয়েছে বলে দাবি। তবে নোটিস নিয়ে প্রদীপ বা তাঁর স্ত্রী কোনও সাড়া দেননি। প্রদীপ এ বিষয়ে বলছেন, ‘‘২০০৮ সালের ঋণ নেওয়ার সময় অনেক সমস্যা হয়েছে। আমাকে এবং আমার স্ত্রীর নামে নোটিস দেওয়া হয়েছে বলে শুনেছি। আইনি পরামর্শ মেনে পরবর্তী পদক্ষেপ করব।’’

যে সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে প্রদীপ ঋণ নিয়ে শোধ করতে পারেননি বলে অভিযোগ, সেই ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান হলেন কাঁথি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্রকাশ গিরি। কারা মন্ত্রী অখিল গিরির পুত্র সুপ্রকাশের সঙ্গে প্রদীপের সম্পর্ক ভালও নয় বলে জেলা তৃণমূল সূত্রের খবর। গত রবিবার কাঁথিতে সাংগঠনিক জেলা কমিটির বৈঠকে দলের বিধায়ক এবং জেলা স্তরের নেতাদের সামনে প্রকাশ্যে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন প্রদীপ এবং সুপ্রকাশ। এর পরে তাঁর এবং স্ত্রীর বিরুদ্ধে ঋণ খেলাপির নোটিস পাঠানোকে ঘিরে শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দলের প্রসঙ্গ নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তবে সুপ্রকাশ বলছেন, ‘‘বারবার ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে দু’জনকে অবগত করা হয়েছে। নিয়ম মেনে সমবায় আইনের ১২২ নম্বর ধারার একটি নোটিস পাঠানো হয়েছে। আগামী ১ জুন এর মেয়াদ শেষ হচ্ছে। উনি অহেতুক আমার বিরুদ্ধে রাগবশত নানা জায়গায় মিথ্যা অভিযোগ করছেন।’’

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে পূর্ব মেদিনীপুর জেল পরিষদের সহ-সভাধিপতি সুফিয়ানের বিরুদ্ধে ঋণ খেলাপির নোটিস ছিল ব্যাঙ্ক। এমন আবহে আরও এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে নোটিস যাওয়ায় কটাক্ষ করছে বিজেপি। দলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সহ-সভাপতি অসীম মিশ্র বলেন, ‘‘সমবায় প্রতিষ্ঠানগুলিকে নিজেদের মত ব্যবহার করে গিয়েছেন তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা। সাধারণ মানুষ ঋণ পাচ্ছেন না। অথচ তৃণমূলের নেতা হলেই লক্ষ লক্ষ টাকা ঋণ পাচ্ছেন এবং তাঁরা শোধওকরছেন না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Contai TMC Bank Loan
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE