Advertisement
E-Paper

তৃণমূল নেতাকে ইট, ভাঙচুরে উত্তপ্ত শিল্পশহর

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,  পাশেই একটি গ্রিলের দোকান থেকে মোজাফফরকে উদ্দেশ করে কটূক্তি করা হয়। মোজাফফর তার প্রতিবাদ করলে তাঁর উপরে চড়াও হয়ে তাঁকে লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০১৯ ০০:০১

এক সময়ের দোর্দণ্ডপ্রতাপ সাংসদ লক্ষণ শেঠ-এর ‘ঘনিষ্ঠ’ তথা সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া নেতা আক্রান্ত হলেন শিল্পতালুকে।

বুধবার শেখ মোজাফফর নামে ওই তৃণমূল নেতাকে মারধরের অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হলদিয়ার ডিঘাসিপুর এলাকা। আক্রান্ত ওই তৃণমূল নেতা হলদিয়ার পুর পারিষদ আসগর আলির বাবা। হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয় বলে পরিবার সূত্রে দাবি। পাল্টা অভিযুক্তদের দোকানে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে ওই নেতার লোকজনের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে ভবানীপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও কোনওপক্ষই রাত পর্যন্ত অভিযোগ দায়ের করেনি বলে পুলিশ জানিয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে বাড়ির কাছেই নিজের গুদামে কাজে ব্যস্ত ছিলেন মোজাফফর। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাশেই একটি গ্রিলের দোকান থেকে মোজাফফরকে উদ্দেশ করে কটূক্তি করা হয়। মোজাফফর তার প্রতিবাদ করলে তাঁর উপরে চড়াও হয়ে তাঁকে লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। হামলায় তিনি বুকে আঘাত পান। তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে সেখান থেকে নিয়ে চলে যান। এরপর উত্তেজিত জনতা ও আক্রান্ত নেতার লোকজন অভিযুক্তের দোকানে হামলা চালায় ও ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। অশান্তির খবর পেয়ে পুলিশ এলাকায় পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মোজাফফর ও অভিযুক্ত দুজনেই তৃণমূলের কর্মী। গোলমালের ঘটনায় যথারীতি বিরোধীরা আঙুল তুলেছে হলদিয়ায় শাসক দলের গোষ্ঠীকোন্দলের দিকে। বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক মানস কুমার রায় বলেন, ‘‘এটা শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দল ছাড়া কিছু নয়।’’

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে ক্ষমতায় তৃণমূল এলেও বারবার হলদিয়ায় শাসক দলের কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে। এমনকী, ২০১৬ সালে বিধানসভা আসন হাতছাড়া পর্যন্ত হয়েছিল। এদিকে, লোকসভা ভোটের মুখে এমন ঘটনায় শাসক দলের অন্দরে অস্বস্তি বাড়তে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও গোষ্ঠীকোন্দলের প্রসঙ্গ উড়িয়ে দিয়েছে শাসক দল।

তৃণমূলের একাংশের দাবি, লক্ষ্ণণবাবু কংগ্রেসে যোগদান করে নের পর এলাকায় আসার পরেই অশান্তি শুরু হয়েছে। এক সময় লক্ষ্মণবাবুর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ মোজাফ্ফর এখন তৃণমূলে। সেই কারণেই তাঁর উপরে হামলা। তাঁদের দাবি, এর পিছনে লক্ষ্ণণবাবুর মদত রয়েছে।

লক্ষ্ণণবাবুর বক্তব্য, ‘‘কী হয়েছে সেটাই জানি না। খোঁজ নিলে জানতে পারব। তবে এ সব বাজে অভিযোগ। ’’

Haldia হলদিয়া TMC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy