প্রতীকী ছবি।
২৫৯টি বুথের মধ্যে ১৮৬টিতেই পিছিয়ে দল। অথচ দলের কর্মসূচি অনুযায়ী মাত্র ২টি বুথে যাবেন গড়বেতার তৃণমূল বিধায়ক। তাতে কি আদৌ এলাকা পুনরুদ্ধার সম্ভব! প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে দলের অন্দরেই।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা মতো ২-৫ অগস্ট বিধায়কদের গ্রাম সফর চলবে। যে খাসতালুকে লোকসভার ধাক্কা তৃণমূলকে ভাবাচ্ছে, সেই গড়বেতার বিধায়ক আশিস চক্রবর্তী রবিবার আমকোপা অঞ্চলের দু’টি বুথে যাবেন, থাকবেন দিনভর। ওই দুটিতেই লোকসভায় বিজেপির থেকে পিছিয়ে আছে তৃণমূল।
আশিসের কার্যকলাপ নিয়েই ইতিমধ্যে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ তৃণমূল নেত্রী। কলকাতার বৈঠকে মমতার ‘ধমক’ও খেয়েছেন বিধায়ক। তার পরদিনই গড়বেতায় এসে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে বড় মিছিল করেছিলেন আশিস। এ বার দিদির নির্দেশে তিনি গ্রামে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে তার সাফল্য নিয়ে আগাম প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
২০১৬ সালে গড়বেতা থেকে ৬০ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতেছিলেন আশিস। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে এলাকায় তৃণমূল আধিপত্য ধরে রেখেছিল। বছর ঘুরতেই উল্টে গিয়েছে হিসেব। এ বার লোকসভা ভোটে শক্তঘাঁটি গড়বেতায় বিজেপির থেকে প্রায় ৭ হাজার ভোটে পিছিয়ে পড়েছে তৃণমূল। গেরুয়া শিবিরের উত্থানে সিঁদুরে মেঘ দেখছে শাসকদল। এক সময় গড়বেতা থেকেই রাজ্যে পরিবর্তনের আওয়াজ তুলেছিলেন মমতা। সেই গড়বেতায় দল পিছিয়ে পড়ায় যারপরনাই চিন্তিত তৃণমূল নেত্রী। গড়বেতা নিয়ে দলনেত্রীর কাছে একাধিকবার তোপের মুখে পড়েছেন বিধায়ক-সহ জেলা নেতৃত্ব। দলের এক পদস্থ জেলা নেতা বলেন, ‘‘জেলার মধ্যে গড়বেতা নিয়েই সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন দলনেত্রী। সেখানে মাত্র ২টি বুথে, তাও আবার উপর থেকে ঠিক করে দেওয়া। সেখানে গিয়ে গড়বেতার মানুষের মনের কথা আর কি বুঝবেন বিধায়ক!’’
আশিস বলেন, ‘‘দলের নির্দেশ মেনে ভেদুয়া ও সাহেবডাঙা বুথে যাব, থাকব, খাওয়াদাওয়া করব, মানুষের সঙ্গে কথা বলব।’’ গড়বেতা বিধানসভা কেন্দ্রে মোট ২৫৯ টি বুথ, এবারের লোকসভা ভোটে এর মধ্যে ১৮৬ টি বুথেই পিছিয়ে তৃণমূল। দলের এক নেতার প্রশ্ন, যেখানে দলের পরাজয় বেশিরভাগ বুথেই সেখানে নামমাত্র চিহ্নিত করা কয়েকটিতে গিয়ে কী লাভ হবে? তাঁদের মতে, এতে যান্ত্রিকভাবে কর্মসূচিই পালন হবে, প্রচার হবে, কাজের কাজ কিছু হবে না। যদিও আশিস বলেন, ‘‘দলনেত্রীর নির্দেশ ও কর্মসূচি যথাযথভাবে পালন করলে সাফল্য নিশ্চিত।’’ বিজেপি অবশ্য তৃণমূলের গড়বেতা পুনরুদ্ধারকে ‘দিবাস্বপ্ন’ বলেই বিঁধছে। গড়বেতার বাসিন্দা বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি প্রদীপ লোধা বলেন, ‘‘গড়বেতার মানুষকে অত সহজে আর ধোঁকা দেওয়া যাবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy