Advertisement
১১ মে ২০২৪

গ্রামে গিয়ে ক্ষোভ শুনলেন বিধায়ক

গ্রামে ঘোরা ছাড়াও ভিলেজ কিটসে থাকা নাম ধরে গ্রামের বাসিন্দা কিঙ্কর কুণ্ডু, দেবব্রত চক্রবর্তী, অরুণ দাস, দেবু চক্রবর্তীর বাড়িতে যান বিধায়ক।

গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলছেন বিধায়ক। —নিজস্ব চিত্র

গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলছেন বিধায়ক। —নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
চন্দ্রকোনা রোড শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০১৯ ০১:৩৩
Share: Save:

গ্রামে গিয়ে পুরনো তৃণমূল কর্মীদের ক্ষোভ শুনলেন তৃণমূল বিধায়ক।

শনিবার রাতে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত চন্দ্রকোনা রোডের বিলা গ্রামে যান শালবনির বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাত। এ দিন বিধায়কের সঙ্গে ছিলেন জ্ঞানাঞ্জন মণ্ডল, প্রসেনজিৎ ভুঁইয়া-সহ কয়েকজন ব্লক স্তরের নেতা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁদের সামনেই দলের নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন চণ্ডী রায় নামে এক প্রবীণ তৃণমূল কর্মী। তাঁর অভিযোগ, ‘‘আমি তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে দলের সঙ্গে আছি। কিন্তু ব্লক নেতৃত্ব আমাকে কোনও কাজেই ডাকেন না। আমার মতো পুরনো দিনের অনেক কর্মীকেই দূরে রাখা হয়েছে। অথচ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারে বারে পুরনো দিনের কর্মীদের নিয়ে চলতে বলছেন।’’ অভিযোগ মন দিয়ে শোনেন বিধায়ক। তারপর তাঁকে মান-অভিমান ভুলে দলের কাজে যোগ দিতে অনুরোধ করেন।

গ্রামে ঘোরা ছাড়াও ভিলেজ কিটসে থাকা নাম ধরে গ্রামের বাসিন্দা কিঙ্কর কুণ্ডু, দেবব্রত চক্রবর্তী, অরুণ দাস, দেবু চক্রবর্তীর বাড়িতে যান বিধায়ক। তাঁদের পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে কথা বলেন। বিধায়ককে সামনে পেয়ে অনেকেই একশো দিনের মজুরি না পাওয়া, স্বাস্থ্যবিমার সুযোগ থেকে বঞ্চনা-সহ নানা অভিযোগ করেন। হিমাংশু সরকার নামে এক গ্রামবাসীর বাড়িতে গিয়ে চা মুড়ি খান বিধায়ক। গ্রামবাসীদের নিয়ে বৈঠকও করেন। দলের বিলা গ্রামের বুথ সভাপতি পটল সরকারের বাড়িতে খাওয়াদাওয়া করে তাঁর বাড়িতেই রাতে থাকেন বিধায়ক। রবিবার সকালে দলীয় পতাকা তুলে গ্রাম ছাড়েন তিনি।

গ্রাম ঘুরে শ্রীকান্ত বলেন, ‘‘কিছু অভাব অভিযোগ আছে। অনেকে নেতাদের একাংশের কার্যকলাপে বীতশ্রদ্ধ হওয়ার কথা বলেছেন। তাঁদের সবার কথা শুনেছি, পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE