Advertisement
E-Paper

‘গড়’ রক্ষায় তৎপর তৃণমূল

এ দিন সকাল থেকেই কাঁথির ‘শান্তি কুঞ্জে’র সামনে ছিল ভিড়। তবে সেই ভিড় শুভেন্দুর তৃণমূলের অনুগামীদের নয়, নেহাতই সাংবাদিকদের।

কেশব মান্না

শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:৫২
—প্রতীকী ছবি

—প্রতীকী ছবি

দলের কারও কাছে তিনি ছিলেন ‘দাদা’। কারও কাছে রাজনীতির ‘অভিভাবক’। সদ্য প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী শনিবার বিজেপি’তে যোগ দেওয়ার পরেই তাই কাঁথি-সহ পূর্ব মেদিনীপুরে ‘গড়’ অটুট রাখতে উদ্যোগী রাজ্যের শাসকদল।

এ দিন সকাল থেকেই কাঁথির ‘শান্তি কুঞ্জে’র সামনে ছিল ভিড়। তবে সেই ভিড় শুভেন্দুর তৃণমূলের অনুগামীদের নয়, নেহাতই সাংবাদিকদের। দুপুরে নীল জওহর কোট এবং সাদা পাঞ্জাবি পরা শুভেন্দু ‘শান্তি কুঞ্জ’ থেকে বেরিয়ে নিয়ে গাড়িতে চেপে মেদিনীপুরে বিজেপি’র সভার উদ্দেশ্যে রওনা হন। তার কিছুক্ষণ আগেই কাঁথিতে শুভেন্দুর বাড়ির অদূরে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ঘুরে ঘুরে রাজ্য সরকারের ১০ বছরের কাজের সাফল্যের কার্ড বিলি করলেন কাঁথি শহর তৃণমূল সভাপতি সিদ্ধার্থ মাইতি। তিনি শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ বলে একাধিকবার দাবি করা হয়েছে। কিন্তু এ দিন সিদ্ধার্থ বলন, ‘‘উনি বড় মাপের নেতা। দল পরিবর্তন ওঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমি দলের সঙ্গেই থাকব। তাই আগামী দিনে দলের শক্তি কীভাবে বাড়নো যায়, সে জন্য জনসংযোগ আরও বেশি করে করছি।’’

কাঁথি শহর থেকে সামান্য দূরে রয়েছে দেশপ্রাণ ব্লকের সফিয়াবাদ গ্রাম। সেখানে তৃণমূলের ‘বঙ্গধ্বনি’ কর্মসূচি চলছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগ করছেন দেশপ্রাণ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তরুণ জানা এবং কাঁথি-৩ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি বিকাশ বেজ। তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে ব্লক সভাপতি রয়েছেন তরুণ। ওই ব্লকের সুনিয়া-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় বাম ‘সন্ত্রাসের’ বিরুদ্ধে এক সময় শুভেন্দুর সহযোদ্ধা ছিলেন তিনি। এদিন তরুণ বলেন, ‘‘শুভেন্দু ভাল মনে করেছেন বলে বিজেপিতে গিয়েছেন। তবে দলের সম্পর্কে উনি যেসব অভিযোগ করেছেন তা একেবারেই মিথ্যে। তাই এখন থেকে আমরা তৃণমূলকে রক্ষা করার দায়িত্ব নিচ্ছি।’’

শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত জেলা পরিষদ সদস্য নন্দ মাইতি। তিনি কাঁথি-৩ ব্লক তৃণমূল সভাপতিও বটে। ভাজাচাউলি, নন্দীগ্রাম এলাকায় রাজনৈতিক অশান্তির সময় শুভেন্দুর পাশে ছিলেন এই বর্ষীয়ান নেতা। এদিন তিনি নিজের এলাকা লাউদাতে ‘বঙ্গধ্বনি’ কর্মসূচিতে দিনভর ব্যস্ত ছিলেন। নন্দীগ্রামে জমি আন্দোলন থেকে খেজুরি হার্মাদ মুক্ত আন্দোলনে শুভেন্দুর সঙ্গে ছিলেন পার্থপ্রতিম দাস। তিনি জেলা পরিষদের সদস্য এবং জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক। শনিবার সকাল থেকেই খেজুরির হলুদ বাড়ি, কামারদা, কলাগাছিয়া এলাকায় দলের কর্মীদের নিয়ে বৈঠক সারছেন করেছেন পার্থ। পার্থর কথায়, ‘‘উনি আমাদের সকলকে ছেড়ে আলাদা রাজনীতি করছেন ভাল কথা। তবে আমাদের দায়িত্ব এখন অনেক বেশি। তাই আমরা তৃণমূলের ঘর রক্ষা করতে ব্যস্ত।’’

শুভেন্দুর ওই পদক্ষেপ নিয়ে যুব তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি এগরায় বঙ্গধ্বনি কর্মসূচিতে গিয়ে বলেন, ‘‘কাঁথিতে অমিত শাহকে যিনি মারার চক্রান্ত করেছিলেন। সেই শুভেন্দু অধিকারীকে বিজেপি দলে নিচ্ছে। সিবিআইয়ে ভয় পেয়ে বিজেপিতে গিয়েছেন উনি। বীরেন্দ্রনাথ শাসমলের জেলা মির্জাফরদের জায়গায় দেবে না।’’

tmc Suvendu Adhikari BJP dungeon
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy