ক্লাবগুলোর কাছে লোকসভা নির্বাচনে ‘পাশে থাকা’র আর্জি জানাতে চলেছে তৃণমূল। দলের এক সূত্রে খবর, জেলার এক হাজারেরও বেশি ক্লাবকে নিয়ে বৈঠক করতে চলেছে যুব তৃণমূল। কাল, মঙ্গলবার মেদিনীপুরের প্রদ্যোৎ স্মৃতি সদনে এই বৈঠক হবে। থাকবেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
লোকসভা নির্বাচনে ‘পাশে থাকা’র আর্জি জানাতেই তো এই বৈঠক? যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি রমাপ্রসাদ গিরি বলছেন, ‘‘ক্লাবগুলোর পাশে আমাদের মা- মাটি- মানুষের সরকার দাঁড়িয়েছে। এ বার ক্লাবগুলোরও উচিত, আমাদের সরকারের পাশে এসে দাঁড়ানো।’’ ক্লাবগুলোকে কি দলের কাজ করার কথাও জানানো হবে? রমাপ্রসাদের জবাব, ‘‘আমরা দলের ঝান্ডা ধরতে বলছি না। তবে বাংলায় তৃণমূল কতটা জনসমর্থন পেতে পারে, দেশের মানুষের কাছে তা দেখিয়ে দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে বাংলার ক্লাবগুলোরও একটা ভূমিকা রয়েছে। আমরা নিশ্চিত, ক্লাবগুলো সেই ভূমিকা পালন করবে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘অনুদানপ্রাপ্ত ক্লাবগুলোকে নিয়ে কত কথা বলেছে বিরোধীরা। টাকা না কি অকাজে খরচ করা হয়েছে। ক্লাবগুলোর উচিত, এই অপপ্রচারের জবাব দেওয়া।’’
মঙ্গলবারের বৈঠকে ক্লাবগুলোর সভাপতি, সম্পাদকদেরই ডাকা হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। ক্ষমতায় আসার পরই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ক্লাবগুলোর জন্য অনুদান চালুর পরিকল্পনা করেছিল তৃণমূল সরকার। তখন থেকেই ক্লাবগুলো নিয়ে খয়রাতির অভিযোগ ওঠে। ‘আমরা- ওরা’র নালিশও ওঠে। বিরোধী থেকে ক্রীড়া, বিভিন্ন মহলের অভিযোগ, এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে খেলাধুলো ও সংস্কৃতিচর্চার সঙ্গে যুক্ত ক্লাবদের বাদ দিয়ে অনুদান পাইয়ে দেওয়া হয়েছে ভুঁইফোড় বহু ক্লাবকে। যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি রমাপ্রসাদের দাবি, ‘‘নিয়মনীতি মেনেই অনুদান বিলি হয়েছে। আমরা- ওরার অভিযোগ ঠিক নয়।’’
ভোটের মুখে তৃণমূলের এই ক্লাব- সংযোগ নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়ছে না বিরোধীরা। যুব বিজেপির জেলা সভাপতি আশীর্বাদ ভৌমিকের কথায়, ‘‘ক্লাবগুলোকে ‘ভোট মেশিনারি’ হিসেবে ব্যবহার করবে বলেই তো এত দান- খয়রাতি।’’ যুব কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মহম্মদ সইফুলের কথায়, ‘‘অনুদান পাইয়ে দিয়ে আনুগত্য এবং সমর্থন কেনার চেষ্টা করেছে শাসক দল। আর অন্য কিছু নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy