দিঘা: আসছে বসন্ত উৎসব। আগামী শুক্রবার বাতাসে উড়বে আবির। উৎসবের আবহে দোলের ছুটির সঙ্গে জুড়েছে সপ্তাহন্ত। টানা তিন দিনের ছুটিতে তাই জেলার উপকূলের পর্যটন কেন্দ্রগুলি কানায় কানায় ভরবে বলে আশাবাদী হোটেল মালিকেরা।
হোলি, দোল যাত্রা এবং রবিবারের ছুটিতে বহু পর্যটক দিঘা বেড়াতে যাওয়ার কথা ভাবছেন। অগ্রিম বুকিংয়ের হিসাব অন্তত তেমনই তথ্য দিচ্ছে। ওল্ড এবং নিউ দিঘা মিলিয়ে নথিভুক্ত বড় হোটেল এবং লজ রয়েছে ৮০০টি। ছোট এবং মাঝারি হোটেল মিলিয়ে সেই সংখ্যা ছুঁয়েছে প্রায় দু'হাজার। সেই সব হোটেল এবং লজে আগামী ১৪ মার্চ থেকে অর্ধেকের বেশি রুম অগ্রিম বুকিং হয়েছে বলে দাবি।
এক হোটেল মালিক গিরিশচন্দ্র রাউৎ বলেন, ‘‘ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে হোলির সময় হোটেলের ঘর বুকিং করতে চেয়ে ফোন এসেছে। যতদূর জানি প্রায় সব হোটেলেই কমবেশি সব ঘর অগ্রিম বুকিং হয়েছে।’’ দিঘা-শঙ্করপুর হোটেল মালিক সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘সব হোটেল এবং লজে ৫০ শতাংশের বেশি ঘর বুকিং হয়ে গিয়েছে। কার পরে এখনও ফোন এবং অনলাইনে বুকিংয়ের ভালই আবেদন মিলছে। আশা করি দোল উপলক্ষে তিন দিন জমজমাট থাকবে দিঘা।’’
আগামী ৩০ এপ্রিল দিঘায় জগন্নাথ ধাম উদ্বোধন হবে। আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে সৈকত শহরে যান চলাচল বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতে পর্যটন ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের। ইতিমধ্যে প্রশাসনের তরফে কিছু হোটেলে আমন্ত্রিত অতিথিদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে পর্যটকদের তরফে অগ্রিম ঘর বুকিং হয়নি বলেই খবর।
হোটেল এবং লজ মালিকদের বক্তব্য, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হচ্ছে চলতি মাসে। এপ্রিলে ইদ উৎসবও শেষ হচ্ছে। এরপর দিঘায় ভিড় বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হলে আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে দিঘায় পর্যটকদের ভিড় আদৌ কতটা হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন হোটেল এবং লজ মালিকরা। তবে ওই কর্মসূচির আগে চলতি সপ্তাহে হোলি উপলক্ষে সবচেয়ে বেশি একটানা ছুটি রয়েছে। এই সময়ে লক্ষ্মীলাভের আশায় খুশি পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত সকলে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)