Advertisement
E-Paper

লাগাতার রেল, রাস্তা অবরোধে আদিবাসীরা

সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রশাসনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে রাজ্য জুড়ে লাগাতার রেল ও সড়ক অবরোধ চলবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:২৭
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের উপর ‘চাপ’ বাড়াতে এ বার লাগাতার রেল ও সড়ক অবরোধের কর্মসূচি ঘোষণা করল সাঁওতালদের সর্বভারতীয় সামাজিক সংগঠন— ‘ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল’।

সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রশাসনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে রাজ্য জুড়ে লাগাতার রেল ও সড়ক অবরোধ চলবে। আপাতত ঠিক হয়েছে, কেন্দ্রীয় ভাবে ওই কর্মসূচি হবে ঝাড়গ্রাম জেলার সীমান্তে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর গ্রামীণ এলাকার খেমাশুলিতে। গত বছর ৩০ জুন হুল দিবসে বিভিন্ন দাবিতে খেমাশুলিতে দীর্ঘক্ষণ রেলপথ ও ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছিল তারা।

২১ সেপ্টেম্বর মাওবাদী সংগঠনের প্রতিষ্ঠা দিবস। ওই দিন থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রতিষ্ঠা সপ্তাহ পালন করে মাওবাদীরা। এরই মাঝে আদিবাসী সংগঠনের জমায়েত ও অবরোধ কর্মসূচি চিন্তায় রেখেছে পুলিশ-প্রশাসনকে। পুলিশের দাবি, আদিবাসী সংগঠনটি সরকারের সঙ্গে বারবার আলোচনায় বসেছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করার পরেও খুশি নন ওই সংগঠনের নেতৃত্ব। প্রশাসনের এক কর্তার বক্তব্য, আদিবাসী সমাজের উন্নতির জন্য ওঁরা (পারগানা মহলের নেতারা) আশ্বাস দিয়েও সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করেছেন না।

তবে পারগানা মহলের সর্বোচ্চ নেতা (দিসম পারগানা) নিত্যানন্দ হেমব্রম বলছেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন সংগঠনের দাবিগুলি নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে। কিন্তু চারমাস পরেও কিছুই হয়নি। তাই লাগাতার আন্দোলনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ন্যায্য দাবি জানালেই আদিবাসীদের মাওবাদী দেগে দেওয়া হয়। আমরা এসবে ভয় পাই না।’’ তাঁর পাল্টা অভিযোগ, ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করার পরেও সাঁওতালি মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে চরম অবহেলা করা হচ্ছে। শিক্ষক নিয়োগ, সাঁওতালি ভাষার ক্ষেত্রে একমাত্র অলচিকি (লিপি) ব্যবহার-সহ নানা দাবিতে ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে অবরোধ আন্দোলন শুরু হচ্ছে। ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আয়েষা রানি বলেন, ‘‘আদিবাসী সংগঠনটির অবরোধ কর্মসূচির বিষয়ে ঊর্ধ্বতন মহলকে অবহিত করা হয়েছে।’’

পঞ্চায়েত ভোটের পরে পরেই মাজি পারগানা মহলকে ঠেকাতে তৎপরতা শুরু হয়। অভিযোগ, আদিবাসীদের সামাজিক সংগঠনের মধ্যে বিভাজন তৈরি করতে রাজনীতির পাশাপাশি প্রশাসনিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। পাল্টা নেতা হিসাবে তোলা হয় প্রবীর মুর্মুকে। তবে প্রশানিক আধিকারিকদের একাংশ মনে করছেন, এত কিছুর পরও দমানো যায়নি পারগানা মহলকে।

Tribal Movement Rail Roa Block
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy