Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

বিক্ষুব্ধ কাঁটা তুলতে পূর্বে কমিটি তৃণমূলের

গত মঙ্গলবার শুভেন্দু অধিকারী ও সৌমেন মহাপাত্র পুরভোটের প্রার্থীদের নিয়ে এক সঙ্গে পথ হেঁটে দলের মধ্যে ঐক্যের বার্তা দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তৃণমূলের নিচুতলায় যে সেই বার্তা তেমন দাগ কাটতে পারেনি, তার প্রমাণ মিলেছে বুধবারই। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে তমলুক পুরসভার একাধিক ওয়ার্ডে তৃণমূলের এক প্রার্থীর বিরুদ্ধে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন খোদ তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলর-সহ দলের পরিচিত ও সক্রিয় কর্মীরা।

আনন্দ মণ্ডল
শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৫ ০০:৫৫
Share: Save:

গত মঙ্গলবার শুভেন্দু অধিকারী ও সৌমেন মহাপাত্র পুরভোটের প্রার্থীদের নিয়ে এক সঙ্গে পথ হেঁটে দলের মধ্যে ঐক্যের বার্তা দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তৃণমূলের নিচুতলায় যে সেই বার্তা তেমন দাগ কাটতে পারেনি, তার প্রমাণ মিলেছে বুধবারই। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে তমলুক পুরসভার একাধিক ওয়ার্ডে তৃণমূলের এক প্রার্থীর বিরুদ্ধে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন খোদ তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলর-সহ দলের পরিচিত ও সক্রিয় কর্মীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে এ বার আসরে নামল খোদ তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব। আজ, মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের আগেই ওই প্রার্থীদের বুঝিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য গড়া হয়েছে একটি বিশেষ কমিটি।

তৃণমূলের দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তমলুকে সাংসদ কার্যালয়ে দলের বৈঠকে এই কমিটি গড়ে দেন তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। ওই কমিটিতে রয়েছেন ভগবানপুরের বিধায়ক অর্ধেন্দু মাইতি, নন্দকুমারের বিধায়ক সুকুমার দে, জেলা কমিটির সদস্য চিত্তরঞ্জন মাইতি, দুই প্রাক্তন পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ সেন, পৃথ্বীশ নন্দী, দলের তমলুক শহর সভাপতি দিব্যেন্দু রায়, নন্দকুমার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকুমার বেরা, জেলা পরিষদ সদস্য দিবাকর জানা। শুক্রবার অর্ধেন্দুবাবু বলেন, “দলের কয়েকজন অভিমানবশত কিছু ওয়ার্ডে দলের কর্মীরা প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। ওঁদের আমরা বোঝানোর চেষ্টা করব। আশা, তাঁরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করবেন।”

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০ ওয়ার্ডের তমলুক পুরসভায় এ বার এককভাবে লড়াই করছে তৃণমূল। তৃণমূলের প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে লড়াই করছে বামফ্রন্ট ও বিজেপি। এছাড়াও বেশ কিছু ওয়ার্ডে প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস ও প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠের নেতৃত্বাধীন ভারত নির্মাণ পার্টি। কিন্তু তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়েছে তমলুকের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড। পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থী সুব্রত রায়ের বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন ওই ওয়ার্ডের বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর জয়া দাস নায়েক।

একইভাবে পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী স্মিতা সামন্তের বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ওই ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর রীনা মান্না, পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী শক্তিপ্রসাদ ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তৃণমূলের ওই ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি গোষ্ঠবিহারী ঘোষ, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী তথা পুরসভার বিদায়ী উপ-পুরপ্রধান দীপেন্দ্রনারায়ণ রায়ের বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন এলাকার পরিচিত তৃণমূল কর্মী অনিমেষ মিশ্র।

শেষ পর্যন্ত এই উদ্যোগে বিক্ষুব্ধ কাঁটা কতটা সরে, সেটাই দেখার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE