ফের প্রকাশ্যে শাসকদলের কোন্দল। এ বার দলেরই পঞ্চায়েত প্রধানের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হলেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ও তাঁর ছেলে। ঘটনাটি জামবনি ব্লকের কেন্দডাংরি গ্রাম পঞ্চায়েতের।
অভিযোগ, সোমবার বিকেলে কেন্দডাংরি পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকে ভাঙচুর চালিয়ে প্রধান ও উপপ্রধানকে মারধর করেন তৃণমূলের কেন্দডাংরি অঞ্চল সভাপতি হরেকৃষ্ণ মাহাতো ও তাঁর ছেলে দুষ্মন্ত। মহিলা উপপ্রধানের শ্লীলতাহানিও করা হয় বলে অভিযোগ। পঞ্চায়েত প্রধান শ্রীযতন রানার অভিযোগের ভিত্তিতে বছর সত্তরের হরেকৃষ্ণবাবু ও বছর তিরিশের দুষ্মন্তকে সোমবার রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলবার ধৃতদের ১৪ দিন জেল হেফাজতে পাঠায় ঝাড়গ্রাম প্রথম এসিজেএম আদালত।
তৃণমূল সূত্রে খবর, মাস ছয়েক আগে কেন্দডাংরির অঞ্চল সভাপতি পদে রদবদল করে দলের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী। জগদীশ মাহাতোকে সরিয়ে দিয়ে হরেকৃষ্ণবাবুকে অঞ্চল সভাপতি করা হয়। হরেকৃষ্ণবাবু এলাকায় তৃণমূলের ব্লক কার্যকরী সভাপতি তথা জামবনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সমীর ধলের অনুগামী হিসেবে পরিচিত। জগদীশবাবুকে সরানোর পরই পঞ্চায়েতের কাজের ভাগ নিয়ে দুই গোষ্ঠীর বিবাদ শুরু হয়।
পঞ্চায়েত প্রধানের অভিযোগ, “সোমবার হরেকৃষ্ণবাবু ও দুষ্মন্তবাবু পঞ্চায়েত অফিসে চড়াও হয়ে বিভিন্ন প্রকল্পে বরাদ্দ ও খরচ হওয়া টাকার হিসেব চান। প্রতিটি কাজের বরাদ্দ টাকার ভাগ চান। আমরা এই অন্যায় প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ওরা জিনিসপত্র ভাঙচুর ও মারধর করে। লাঞ্ছিত হন উপপ্রধান।” তৃণমূলের ব্লক কার্যকরী সভাপতি তথা জামবনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সমীর ধলের বক্তব্য, “বিষয়টি জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েছি। এমন ঘটনা অনভিপ্রেত।”
গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে রাশ টানতে এ দিন জামবনি যান তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক দুর্গেশ মল্লদেব। দুই গোষ্ঠীর লোকজনকে নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। পরে দুর্গেশবাবু বলেন, “নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। বিষয়টি দলীয়স্তরে মেটানোর চেষ্টা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy