পুজোর মধ্যেই নিরাপত্তার ফাঁক গলে সরকারি হোম থেকে পালিয়ে গেল দুই কিশোরী। মেদিনীপুরের রাঙামাটিতে ‘বিদ্যাসাগর বালিকা ভবন’ নামে ওই সরকারি হোমে রক্ষী রয়েছে। সেই নজরদারির মধ্যেই কী ভাবে একসঙ্গে দু’জন আবাসিক পালিয়ে গেল প্রশ্ন উঠছে। হোমের তরফে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। হোমের সুপার সুস্থিতি তিওয়ারি এ ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলতে চাননি। তাঁর বক্তব্য, “যা জানানোর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আর কিছু বলব না।’’ হোম-পালানো নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি জেলা সমাজকল্যাণ আধিকারিক মণিশঙ্কর মুখোপাধ্যায়ও। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার, অষ্টমীj সকালে হোম কর্তৃপক্ষ দেখেন, আবাসিকদের মধ্যে দু’জন নেই। বছর দশেক ও বছর তেরোর ওই দুই কিশোরী কয়েক বছর ধরে মেদিনীপুরের হোমে ছিল। দু’জন পাঁচিল টপকে পালিয়েছে, না কোনও গেট দিয়ে পালিয়েছে তা স্পষ্ট নয়। হোম কর্তৃপক্ষের দাবি, গেট বন্ধ ছিল। পাঁচিল টপকে পালানোর সম্ভাবনাই বেশি। কিন্তু হোমের উঁচু পাঁচিল টপকানো সহজ নয়। পুলিশের এক সূত্র মনে করছে, হতে পারে ওই সময় কোনও গেট খোলা ছিল। বুধবার রাতে হোমে চারজন কর্মী ছিলেন। ইতিমধ্যে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। কর্মীরা জানান, নিরাপত্তায় ফাঁক ছিল না। সব গেট বন্ধই ছিল। তাহলে দুই আবাসিক পালালো কী করে? তার সদুত্তর অবশ্য মেলেনি।
আগেও মেদিনীপুরের এই সরকারি হোম থেকে আবাসিক পালিছে। এ বার পুলিশ মনে করছে, হতে পারে রক্ষীদের নজর এড়িয়ে দুই আবাসিক প্রথমে গাছে ওঠে। তারপর ডাল ধরে পাঁচিলে উঠে তা টপকে পালায়। গোটা পশ্চিম মেদিনীপুরে এটিই একমাত্র সরকারি হোম। মূলত, আদালতের নির্দেশেই মেয়েদের এখানে রাখা হয়। যারা অনাথ, তাদেরও থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। এক সময় গুড়াপ-কাণ্ড নিয়ে রাজ্য জুড়ে শোরগোল পড়ে। তখন সরকারি হোমগুলোর নিরাপত্তায় বেশ কিছু পদক্ষেপ করা হয়। অবশ্য অবস্থার যে বিশেষ হেরফের হয়নি এই ঘটনাই তার প্রমাণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy