Advertisement
০৮ মে ২০২৪

তবে কি থিম চুরি! দুই শিবে শুরু নারদ-নারদ

আর ছোটবাজার সর্বজনীনের টিজারে লেখা ছিল— ‘ইতিহাসের দ্বাদশ শিবলিঙ্গ দেখতে ছোটবাজারে’। চতুর্থীর রাতে উদ্বোধনের পরে দেখা গিয়েছে, রাঙামাটির মণ্ডপসজ্জাও সেই দ্বাদশ শিবলিঙ্গের আদলে। দুই পুজোর অজান্তেই থিম যেন চুরি গিয়েছে!

দ্বৈরথ: বাঁ দিকে রাঙামাটি ও ডান দিকে ছোটবাজারের মণ্ডপ। নিজস্ব চিত্র

দ্বৈরথ: বাঁ দিকে রাঙামাটি ও ডান দিকে ছোটবাজারের মণ্ডপ। নিজস্ব চিত্র

বরুণ দে
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০১:০৫
Share: Save:

শিব নিয়ে নারদ- নারদ শুরু হয়েছে শহরের দুই বড় পুজোর মধ্যে। মেদিনীপুরে এমনটা শেষ কবে হয়েছে মনে করতে পারছেন না প্রবীণ নাগরিকেরাও।

মাস খানেক আগেই নিজেদের টিজার প্রকাশ করেছিল রাঙামাটি সর্বজনীন। শহর জুড়ে চোখে পড়ছিল ‘হর হর মহাদেব’ ফেস্টুন। আর ছোটবাজার সর্বজনীনের টিজারে লেখা ছিল— ‘ইতিহাসের দ্বাদশ শিবলিঙ্গ দেখতে ছোটবাজারে’। চতুর্থীর রাতে উদ্বোধনের পরে দেখা গিয়েছে, রাঙামাটির মণ্ডপসজ্জাও সেই দ্বাদশ শিবলিঙ্গের আদলে। দুই পুজোর অজান্তেই থিম যেন চুরি গিয়েছে!

আগে শহরে পুজোর থিম প্রকাশের চল তেমন ছিল না। গোপন বৈঠক করেই পুজোর থিম ঠিক করতেন উদ্যোক্তারা। আগে থেকে সেই থিম অন্য কেউ জানতেনও না। এখন অবশ্য ছবিটা উল্টো। টিজার সামনে এনে পুজোর থিম আগেভাগে জানানোটাই যেন রীতি। ছোটবাজার সর্বজনীনের সম্পাদক অরুণ চৌধুরীর কথায়, “আমাদের থিম অনেক আগেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল। শুনছি না কি রাঙামাটিও এক থিম করেছে। তবে ওদের কাজ আর আমাদের কাজ অনেক আলাদা।” রাঙামাটি সর্বজনীনের সম্পাদক সোমনাথ সাউয়ের কথায়, “আমাদের থিমও অনেক আগে ঠিক হয়ে গিয়েছিল। ছোটবাজারও একই থিম করেছে বলে শুনছি। কার কাজ কতটা আলাদা সেটা দর্শকরাই বলবে।”

দুই পুজোর থিম যে মিলতে পারে তার ইঙ্গিত অবশ্য মিলেছিল মাস খানেক আগে। তবে মণ্ডপসজ্জার প্রায় সব কিছুই যে মিলে যাবে, তা বোঝা যায়নি। বোঝা গিয়েছে চতুর্থীর রাতে। উদ্বোধনের পরে। ওই দুই পুজোর উদ্বোধন হয়েছে চতুর্থীর দিনই। আর তারপর থেকেই শহরে ওই এক থিম নিয়ে চর্চা। কোন শিব এগিয়ে, কোন শিব পিছিয়ে, তা নিয়েই যাবতীয় চর্চা। ছোটবাজার সর্বজনীনের সম্পাদক অরুণ চৌধুরী বলছিলেন, “আমাদের থিম যে দ্বাদশ শিবলিঙ্গ তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলাম। পুরাণ মতে বারোটি মহালিঙ্গ শিবের দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গ নামেই পরিচিত। এই দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গই আমাদের মণ্ডপে উঠে এসেছে।’’ আর রাঙামাটি সর্বজনীনের সম্পাদক সোমনাথ সাউয়ের কথায়, “দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের আদলে মণ্ডপ তৈরির পরিকল্পনা অনেক আগের। তাই তো আমরা থিমের নাম ‘হর হর মহাদেব’ দিয়েছি। সেই মতো টিজারও দিই।”

দুই পুজোর এই নারদ-নারদ বেশ উপভোগই করছেন শহরবাসী। শহরের বাসিন্দা অলোক দাস, পারমিতা সাহাদের কথায়, “দু’টোই শহরের বড় পুজো। প্রতি বছরই ভাল থিম করে। শুনেছি শিব নিয়ে একই রকম থিম হয়েছে দুই জায়গায়। থিমে থিমে লড়াই হোক না, মন্দ কী!”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE